কুয়েতের যুবরাজ শেখ আল আহমেদ আল জাবের আল সাবাহ সরকারের ইস্তফা গ্রহণ করেছেন বলে সংবাদসংস্থা কুনা জানিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ আহমেদ নাওয়াফ আল-সাবাহ যুবরাজকেই ইস্তফাপত্র দিয়েছিলেন। তবে যুবরাজ জানিয়েছেন, যতদিন নতুন সরকার দায়িত্ব না নেয়, ততদিন শেখ আহমেদ নাওয়াফ আল-সাবাহ প্রধানমন্ত্রী হিসাবে কাজ করবেন।
গত জুলাই মাসে শেখ আহমেদকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ করেছিলেন যুবরাজ।
কেন পদত্যাগ?
গত বৃহস্পতিবার কুয়েতে নির্বাচন হয়। সেখানে বিরোধীরা আগের তুলনায় অনেক ভালো ফল করেছে। ভোটের ফলাফল থেকে স্পষ্ট, বর্তমান সরকারের পক্ষে পার্লামেন্টে আর্থিক সংস্কার কর্মসূচি অনুমোদন করানো সম্ভব হবে না।
ভোট যাওয়ার আগে থেকেই তাদের সঙ্গে আইনসভার সম্পর্কে যথেষ্ট উত্তেজনা ছিল। সেই পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা ছিল না। তাই প্রধানমন্ত্রী ইস্তফার সিদ্ধান্ত নেন।
কুয়েতে সরকার নিয়োগ করে রাজপরিবার। তবে পার্লামেন্টের সদস্যরা গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হন এবং তারা এই অঞ্চলের অন্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি স্বাধীনতা ভোগ করেন।
এর আগের পার্লামেন্ট যুবরাজ ভেঙে দিয়েছিলেন। আমিরের অধিকাংশ দায়িত্ব তিনি নিজের হাতে নিয়ে নেন। এভাবেই তিনি রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটাবার চেষ্টা করেছিলেন।
সরকার ও পার্লামেন্টের মধ্যে বিরোধের ফলে ২০২২-২৩-এর বাজেট অনুমোদনের ক্ষেত্রেও দেরি হয়েছে।
ইএফ