দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর গত প্রায় ৭ মাসে গাজায় ১৪১ জন সাংবাদিক নিহত ও ৭০ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া চলমান এই যুদ্ধে গ্রেফতার অন্তত ২০ জন সাংবাদিক ইসরাইলের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি আছেন।
আজ (০৩ মে) বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস। এই দিবসকে সামনে রেখে যুদ্ধের সংবাদ সংগ্রহে নিয়োজিত সাংবাদিকদের নিরাপত্তার দাবি করে শুক্রবার একটি বিবৃতি জারি করেছে গাজার সরকারি মিডিয়া দফতর। সেই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে এসব তথ্য।
তুরস্কের সরকারি বার্তাসংস্থা আনাদোলুর বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে মিডল ইস্ট মনিটর।
বিবৃতিতে সাংবাদিক হত্যা ও সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনাগুলোকে ইসরাইল সরকার ও প্রতিরক্ষা বাহিনীর ‘পরিকল্পিত পদক্ষেপ’ হিসেবে উল্লেখ করে গাজার মিডিয়া অফিস বলেছে, ‘গাজায় সামরিক অভিযানের নামে শিশু ও নারীদের বিরুদ্ধে যে গণহত্যা চালাচ্ছে দখলদার ইসরাইলি সামরিক বাহিনী, সেই গণহত্যা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে হত্যা করা হচ্ছে সাংবাদিকদের।’
সাংবাদিকদের ওপর হামলা বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বানও জানিয়েছে গাজার সরকারি মিডিয়া দফতর।
৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস এবং ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মধ্যে যুদ্ধ শুরুর পর এখন পর্যন্ত নিহত সাংবাদিকদের মধ্যে ১০৭ জনের নাম ও জাতীয়তা প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। সেই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত সাংবাদিকদের মধ্যে ১০০ জন ফিলিস্তিনি, ৩ জন লেবানিজ এবং ৪ জন ইসরাইলি।
ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় সর্বশেষ নিহত সাংবাদিকের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেছে গাজার মিডিয়া দফতর। নিহত ওই সাংবাদিকের নাম সালেম আবু তোয়োর। আল-কুদস টুডে নামের একটি স্থানীয় টেলিভিশনের প্রতিবেদক ছিলেন তিন।
গত ৭ অক্টোবর গাজার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরাইল ভূখণ্ডে প্রবেশ করে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তাদের হামলায় নিহত হন ১ হাজার ২০০ জন মানুষ। এছাড়া দুই শতাধিক মানুষকে জিম্মি করে নিয়ে যায় হামাস। জবাবে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। তাদের আগ্রাসনে গাজায় এরইমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৩৪ হাজারেরও বেশি মানুষ। যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন ৮০ হাজারের মতো মানুষ।
টিএইচ