জাপানের ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি তাদের নতুন নেতা নির্বাচন করেছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার স্থলাভিষিক্ত হবেন নতুন এই নেতা। সরকারি ভোট গণনায় জয়ী হয়েছেন সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শিগেরু ইশিবা। ফলে জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী তিনিই হতে যাচ্ছেন বলে এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ভোটের মাধ্যমে নতুন নেতা নির্বাচিত করেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) আইনপ্রণেতারা। জাপানের পার্লামেন্টে এলডিপি সংখ্যাগরিষ্ঠ, তাই দলের নতুন নেতাই হবেন জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী। আগামী ১ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করা হবে।
গত দুই সপ্তাহ ধরে এলডিপির নেতৃত্ব দিতে ৯ প্রার্থী প্রচারণা চালিয়েছেন।
শুক্রবার টোকিওতে নতুন নেতা নির্বাচনে ভোট দেন দলটির আইনপ্রণেতা ও আঞ্চলিক নেতারা। ৭৩৬ ভোটের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে কট্টরপন্থি জাতীয়তাবাদী নেতা তাকাইচিকে পরাজিত করেন ইশিবা। তাকাইচি জয়ী হলে হতেন দেশের প্রথম নারী নেতা।
দলীয় প্রধান নির্বাচনের পর আগামী সোমবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ও তার মন্ত্রিসভা পদত্যাগ করবে।
এরপর পার্লামেন্টে নতুন দলীয় নেতা ও কিশিদার উত্তরসূরির নাম ঘোষণা করা হবে। এরপর তিনি নতুন মন্ত্রিসভা ঘোষণা করবেন। নতুন প্রধানমন্ত্রী জণগণের রায় জানতে চাইলে আগাম নির্বাচন দিতে পারেন।
টোকিওতে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সদর দপ্তরে বিজয় ঘোষণা করার পর সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শিগেরু ইশিবা খুশিতে কেঁদে ফেলেন এবং চশমা খুলে অশ্রুসজল চোখ মুছতে থাকেন। তার সহযোগীরা তাকে অভিনন্দন জানাতে বারবার মাথা নত করছিলেন।
ইশিবা সংক্ষেপে বলেন, ‘মানুষের প্রতি বিশ্বাস রাখতে, সাহস ও আন্তরিকতার সঙ্গে সত্য কথা বলতে এবং এই দেশকে একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত জায়গা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করব। যেখানে সবাই আবার মুখে হাসি নিয়ে বসবাস করতে পারবে।’
এর আগে ২০১২ সালে ইশিবা জাতীয়তাবাদী নেতা শিনজো অ্যাবের কাছে হেরেছিলেন। শিনজো ২০০৬ থেকে ২০০৭ সাল এবং ২০১২ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত পর্যন্ত জাপানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০২২ সালে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় তিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। তিনি জাপানের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদী প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
টিএইচ