মালয়েশিয়ার নির্মাণ সেক্টরে ভুমিধ্বসে মাটি চাপা পড়ে নিহত ৩ বাংলাদেশি শ্রমিকের লাশ আজ গভীর রাতে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনস এর ১টি ফ্লাইটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছে। এর আগে শ্রমিকদের দূর্ঘটনার পর দূতাবাস এর লেবার উইং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে ধ্যন দরবার করে শ্রমিকদের ক্ষতিপুরন আদায় সহ মাত্র ২ সপ্তাহের মধ্যে লাশ দেশে পাঠানোর যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।
গতকাল মালয়েশিয়ার স্থানীয় সময় রাত ৯.৪০ মিনিটের ফ্লাইট নং mh196 তে ঐ তিনটি লাশ নিয়ে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে এবং বাংলাদেশ সময়ে ১১.৪০ মিনিটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌছে। এরপর নিহত শ্রমিকদের স্ব স্ব পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। বিষয় টি নিশ্চিত করেছেন মালয়েশিয়াস্থ কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ দূতাবাসের লেবার উইং এর ওয়েলফেয়ার সহকারী মো. মোকসেদ আলী।
দূতাবাসের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দূর্ঘটনায় বর্ণিত কর্মীদের মৃত্যু সংবাদ প্রাপ্তির সাথে সাথে হাইকমিশনের পক্ষ হতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে জানা যায়, তারা Projek: Membina Jalan Dani Kampung Joh Ke Kampung Belimbing, Tanah Merah, Kelantan এর আওতায় কাম্পুং মাকা নামক পাহাড়ী এলাকায় সড়ক নির্মাণের নির্মান শ্রমিক হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় গত ২ নভেম্বর স্থানীয় সময় আনুমানিক ১২ ঘটিকার দিকে আকস্মিক ভূমি ধ্বসের কারণে মাটি চাপা পড়ে মর্মান্তিকভাবে মৃত্যুবরণ করেন। পরবর্তীতে ৩ নভেম্বর হাইকমিশনার মহোদয়ের নির্দেশনায় কাউন্সেলর (শ্রম) সৈয়দ শরিফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘটনাস্থল ও লাশ সংরক্ষিত হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।
এবিষয়ে দূতাবাসের মিনিস্টার (লেবার উইং) নাজমুস সাদাত সেলিম বলেন, উপরোক্ত বর্ণিত প্রকল্পে মৃত ব্যক্তিগণকে নিযুক্তকারী কোম্পানীর মালিকের সাথে হাইকমিশনের পক্ষ হতে ধারাবাহিক যোগাযোগের মাধ্যমে মৃত ব্যক্তিগণের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ক্ষতিপূরণ আদায় করা হয়।
আদায়কৃত ক্ষতিপূরণের অর্থ গত ৯ নভেম্বর কোম্পানীর পক্ষ হতে মৃত ব্যক্তিদের পিতা/মাতা/স্ত্রীর ব্যাংক একাউন্টে স্থানান্তর সম্ভব হয় এবং ক্ষতিপূরণের অর্থ প্রাপ্ত ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগপূর্বক অর্থ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
টিএইচ