সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

মরক্কোয় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯৬

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মরক্কোয় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯৬

ভূমিকম্পের পর রাস্তায় নেমে আসেন সাধারণ মানুষ। ভয় ও আতঙ্কের কারণে বাড়িতে না ঢুকে অনেকে রাতের বেলা বাইরেই অবস্থান করেন -রয়টার্স

মরক্কোয় আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯৬ জনে দাঁড়িয়েছে। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় রাত ১১টার দিক ৬ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে দেশটি। যা ২০ সেকেন্ড পর্যন্ত স্থায়ী ছিল।

বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ভয়াবহ এ ভূমিকম্পে ভবন ধসে পড়ে ২৯৬ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, মাটির ১৮ দশমিক ৫ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এটির উৎপত্তিস্থল ছিল আটলাস পর্বতমালার ওকাইমেদেনের স্কাই রিসোর্টের কাছে। ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশটির ঐতিহ্যবাহী পুরাতন শহর মারাখেস।

মারাখেসের ৩৩ বছর বাসিন্দা আব্দেলহক এল আমরানি বার্তাসংস্থা এএফপিকে টেলিফোনে বলেছেন, ‘আমরা খুবিই শক্তিশালী কম্পন অনুভব করি। আর আমি বুঝতে পারি এটি ভূমিকম্প। আমি ভবন নড়তে দেখছিলাম। তখন আমি বাইরে বের হয়ে দেখি রাস্তায় অসংখ্য মানুষ। মানুষ আতঙ্কিত ও হতবিহ্বল হয়ে পড়েছিল। শিশুরা কান্নাকাটি করছিল; বাবা-মায়েরা এতে বিরক্ত হচ্ছিল।’

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল

মরক্কোর স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, আটলাস পরবর্তমালার কিছু এলাকায় সব বাড়ি-ঘর ধসে পড়েছে। আর সেসব এলাকার ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে এখনো স্পষ্ট কোনো তথ্য জানা যাচ্ছে না। তবে ওই পাহাড়ি অঞ্চলগুলোতে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আব্দুল হক এল আমরানি জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের পর ১০ মিনিটের জন্য বিদ্যুৎসহ মোবাইল নেটওয়ার্ক চলে গিয়েছিল। বিদ্যুৎ আসলেও কেউ আর নিজ ঘরের ভেতর যাননি।

এই মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ সাধারণত মধ্যরাতে যেসব ভূমিকম্প সংঘটিত হয় সেগুলোর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে কিছুটা সময় লাগে।

টিএইচ