ইসরাইল-হামাস যুদ্ধবিরতি শুরুর পর অবরুদ্ধ গাজায় প্রবেশ করছে ত্রাণবাহী ট্রাক। এসব ট্রাকে জ্বালানি ও রান্না করার গ্যাসও রয়েছে।
শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে চার দিনের এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এতে মধ্যস্থতা করছে কাতার। এই যুদ্ধবিরতিতে হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে কিছু বন্দীবিনিময়ের কথা রয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার ৪৮ দিন পর সাময়িক বিরতিতে সম্মত হলো দু’পক্ষ।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, জাতিসঙ্ঘের সাহায্য সংস্থাগুলোর এসব ত্রাণ মিসর থেকে রাফাহ সীমান্ত দিয়ে গাজায় প্রবেশ করেছে। ত্রাণবাহী ট্রাকগুলোর মধ্যে চারটি ট্রাকে জ্বালানি এবং চারটি ট্রাকে রান্না করার গ্যাস রয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (টুইটার) ইসরাইলি সেনাবাহিনী আরো জানিয়েছে, জ্বালানিগুলো ইসরাইলি সরকার কর্তৃক অনুমোদন পাওয়ার পরই গাজায় প্রবেশ করেছে। এটা যুদ্ধবিরতি চুক্তির একটা অংশ।
রাফাহ থেকে আলজাজিরার প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ধারণা করা হচ্ছে আজ ২০০টি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করবে।
গাজায় সবকিছু ভাঙ্গা
শাতি শরণার্থী ক্যাম্প থেকে বাস্তুচ্যুত হওয়া জাক হানিয়া নামক এক ফিলিস্তিনি জানিয়েছেন, ইসরাইলি হামলার কারণে গাজার সবকিছুই এখন ভাঙ্গা।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ঘরবাড়ি ভাঙ্গা, আমাদের হৃদয় ভাঙ্গা, গাজার সবকিছুই এখন ভাঙ্গা। আমরা জানি না এর পর জীবন আর স্বাভাবিকভাবে চলতে পারবে কিনা।
যুদ্ধবিরতির তিন ঘণ্টার মতো সময় পর গাজার দক্ষিণাঞ্চল খান ইউনিস থেকে তিনি আলজাজিরার প্রতিনিধিকে এ কথাগুলো বলেছেন। ‘গাজার বাসিন্দারা এখনো আতঙ্কগ্রস্ত,’ বলেন তিনি।
হানিয়া বলেন, ‘আমি এখনো গুলির শব্দ পাচ্ছি। আমার ধারণা এ শব্দ আসছে খান ইউনিসের পূর্ব সীমান্ত থেকে।’
এ যুদ্ধবিরতিতে আগের বাসস্থানে ফিরে যাবেন কিনা- এমন প্রশ্নে হানিয়া বলেন, ‘আমরা যেতে পারব না। কারণ ইসরাইলি বাহিনী বলেছে, কাউকে উত্তরে যেতে দেবে না। লোকজন ভয়ে ও দ্বিধায় আছে, সেখানে ফিরে যাবে কিনা।’
‘আমার মনে হয় সেখানে যাওয়া বিপজ্জনক হবে। কারণ তারা (ইসরাইলি সেনাবাহিনী) এখনো উত্তর ও দক্ষিণ গাজাকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। তাই আমরা এখনো কোনো বিষয়ে নিশ্চিত না,’ বলেন জাক হানিয়া। সূত্র : আলজাজিরা
টিএইচ