মধ্যপ্রাচ্যের ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিদের নিশানা করে হামলা চালিয়েছে মার্কিন-ব্রিটিশ জোট। এতে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৪ জন। গেল নভেম্বর থেকে জাহাজে হামলা শুরুর পর এটি ছিল প্রথম প্রাণহানির ঘটনা।
আজ মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইয়েমেনের সরকারের এক মুখপাত্র বলেন, মার্কিন-ব্রিটিশ জোট ইয়েমেনের পশ্চিমাঞ্চলের বন্দর নগরী ও ছোট শহরে সোমবার হামলা চালিয়েছে। এতে অন্তত ১১ জন নিহত ও ১৪ জন আহত হয়েছেন।
দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিদের পরিচালিত আল মাসিরাহ টিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইয়েমেনে অন্তত ১৭টি বিমান হামলা চালানো হয়েছে। এ সময় দেশটির প্রধান বন্দর নগরী হোদেইদাহ ও রাস ইসা বন্দরেও হামলা চালানো হয়।
এর আগে গত ৬ মার্চ ব্রিটিশ ও মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাতে আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এডেন উপসাগরে একটি বাণিজ্যিক জাহাজে ইয়েমেনের সশস্ত্র হুতি বিদ্রোহীদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দুই নাবিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার কয়েক দিন পরই মার্কিন জোটের হামলায় এ প্রাণহানি ঘটেছে।
এর আগে গত ২ মার্চ আলজাজিরা জানায়, ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতি বিদ্রোহীদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত একটি ব্রিটিশ কার্গো জাহাজ লোহিত সাগরে ডুবে গেছে। ডুবে যাওয়া জাহাজটির নাম এমভি রুবিমার। এটি উত্তর আমেরিকার দেশ বেলিজের পতাকাবাহী যুক্তরাজ্যের মালিকানাধীন একটি পণ্যবাহী জাহাজ। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সার নিয়ে বাব আল-মান্দেব প্রণালি পাড়ি দেওয়ার সময় হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শিকার হয়েছিল জাহাজটি। হামলায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে ক্রু সদস্যরা জাহাজটি রেখে নিরাপদে সরে যান।
গত অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হলে হামাসের প্রতি সমর্থন জানায় হুতি বিদ্রোহীরা। তাদের সমর্থনের অংশ হিসেবে নভেম্বর থেকে লোহিত সাগরে ইসরায়েলগামী ও ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন জাহাজে হামলা করে আসছে তারা। এরপর এই তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের জাহাজের নাম যুক্ত করে ইরানপন্থি এ গোষ্ঠীটি।
টিএইচ