আফগানিস্তানে শৈত্যপ্রবাহ চলছে। আর এই শৈত্যপ্রবাহ ও ঠান্ডার দাপটে ইতিমধ্যে গোটা দেশে এখন পর্যন্ত ১৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে রোববার (২৯ জানুয়ারি) পাকিস্তানি গণমাধ্যম ডন এ তথ্য জানিয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানা যায়, এক দশকের বেশি সময়ের মধ্যে এবারের ঠান্ডা সবচেয়ে ভয়াবহ। আর এই অতিরিক্ত ঠান্ডার প্রভাব পড়েছে দেশের অর্থনীতিতেও।
পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, ঘর গরম করার জ্বালানি জোগাড় করতেও অসমর্থ হয়ে পড়েছেন আফগানবাসী। দেশটির অর্ধেকেরও বেশি মানুষ ক্ষুধার্ত এবং ৪০ লাখ শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে। ঘর গরম করার জ্বালানিও তারা জোগাড় করতে পারছে না।
জানা গেছে, আফগানিস্তানে চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি থেকে তাপমাত্রা মাইনাস ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। ঠান্ডায় গত সপ্তাহে মৃতের সংখ্যা ৮৮ থাকলেও এখন ১৬৬। বহু গবাদিপশুও ঠান্ডায় জমে মারা গেছে। ভয়াবহ তুষারপাতের পাশাপাশি বহু এলাকায় বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন।
উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বর থেকে আফগানিস্তানে অন্তত ৬টি বড় বিদেশি সহায়তা সংস্থা তাদের কার্যক্রম স্থগিত করেছে। ফলে দেশটির অর্থনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে।
সম্প্রতি জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আফগানিস্তানের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষের জরুরি সহায়তা প্রয়োজন।
টিএইচ