ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন হামলায় নিন্দা জানিয়েছে ইরান। এই দুই দেশে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে উত্তেজনা ও অস্থিতিশীলতাকে আরও বাড়িয়ে দেবে বলেও মনে করে তেহরান।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা।
গেল মাসে জর্ডানের একটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের তিন সেনা নিহত হয়েছেন। এই হামলার জবাবে ইরাক ও সিরিয়ায় ৮৫টি লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছে মার্কিন সামরিক বাহিনী।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, সমন্বিত এসব হামলা ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডসের (আইআরজিসি) কুদস ফোর্স ও সহযোগী সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে চালানো হয়েছে। এ ছাড়া হামলা অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় মধ্যরাতে এসব হামলা চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী। ৭টি এলাকার মোট ৮৫টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা হয়েছে।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস ওয়ার মনিটর জানিয়েছে, মার্কিন হামলায় সিরিয়ায় অন্তত ১৮ জন ইরানপন্থি যোদ্ধা নিহত হয়েছে।
শনিবার এক বিবৃতিতে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি বলেছেন, মার্কিন হামলা ইরাক ও সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা, আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এসব হামলা শুধু ইসরায়েলি সরকারের লক্ষ্যকে সহায়তা করবে। এই ধরনের হামলা এই অঞ্চলে মার্কিন সরকারকে আরও জড়িয়ে ফেলবে এবং গাজায় ইসরায়েলের অপরাধকে আড়াল করবে।
কানানি বলেন, এই ধরনের অব্যাহত অভিযান আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি তৈরি করবে। এ সময় মধ্যপ্রাচ্যের সংকটের বিস্তার রোধে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
টিএইচ