ব্রিটিশ-ইরানি নাগরিক ও ইরানের সাবেক উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী আলিরেজা আকবরীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইরান। তিনি যুক্তরাজ্যের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে দোষী সাব্যস্ত। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে শনিবার (১৪ জানুয়ারি) এ তথ্য জানায় সিএনএন।
আলিরেজা আকবরীকে ২০১৯ সালে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে আলিরেজা তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন। এছাড়া যুক্তরাজ্যও ইরানকে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর বন্ধ করে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল।
গেল কয়েকদিন ধরেই আলী আকবরীকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য ইরানকে চাপ দিচ্ছিল যুক্তরাজ্য। এমনকি ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী আইআরজিসির ওপর যুক্তরাজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও খবর বেরিয়েছে। কিন্তু সেসব চাপ তোয়াক্কা না করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল তেহরান।
আলিরেজা ইরানের সাবেক সংস্কারপন্থী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ খাতামির শাসনামল ২০০০ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। খাতামি ১৯৯৭ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে ইরানের প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
কিন্তু গুপ্তচরগিরির অভিযোগ ওঠার পর ২০০৮ সালে তিনি যুক্তরাজ্যে চলে যান। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে কাজ করেছেন। পরে ২০১৯ সালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। নিজের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন আলিরেজা।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার (১১ জানুয়ারি) আলিরেজা আকবরীর পরিবারকে শেষবারের মতো দেখা করতে কারাগারে যেতে বলা হয়েছিল। তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এসে বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) আলীরেজার স্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, ‘আলিরেজা আকবরীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইরান। এরপর তাকে নির্জন কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
এ ঘটনায় ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি এক টুইটে লিখেছেন, আলিরেজার মৃত্যুদণ্ড ইরান সরকারের একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তারা বর্বর, মানুষের জীবন তাদের কাছে মূল্যহীন।
টিএইচ