গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস দাবি করেছে, গাজায় বর্তমানে ২০০ থেকে ২৫০ জন বন্দী আছে। বিদ্যমান `নিরাপত্তা এবং বাস্তব জটিলতার কারণে` সুনির্দিষ্ট কোনো হিসাব তাদের কাছে নেই। তবে কেবল হামাসের হাতেই আছে ২০০ বন্দী। হামাসের সামরিক মুখপাত্র আবু ওবায়দা এ কথা জানিয়েছে। গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে অভিযান চালিয়ে তাদের বন্দী করা হয়।
টেলিভিশনে প্রচারিত এক বক্তব্যে আবু ওবায়দা বলেন, অন্যান্য প্রতিরোধ আন্দোলন এবং অন্যান্য স্থানে আরো ৫০ জন বন্দী রয়েছে। হামাস মুখপাত্র বলেন, বিদেশী বন্দীরা `আমাদের অতিথি।` তিনি তাদের সুরক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, যখন বাস্তব অবস্থা অনুকূল হবে, তখনই তাদের মুক্তি দেয়া হবে।
তিনি বলেন, `আমাদের ধর্ম আমাদের যে ধরনের নির্দেশনা দিয়েছে, আমরা সেভাবেই বন্দীদের সাথে আচরণ করছি। আমরা যা খাই, তাই তারা খাচ্ছে, আমরা যা পান করি, তাই তারা পান করছে। আমরা গাজায় যেভাবে বাস করি, তারাও সেভাবে বসবাস করে। তাদের সাথে মানবিক আচরণ করা হচ্ছে।`
তিনি বলেন, গাজায় ইসরাইলি হামলার হুমকি আমাদের ভীত করছে না। তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন, তাদের হুমকি `আমাদের ভীত করছে না। আমরা এর জন্য প্রস্তুত।`
তিনি গত কয়েক ঘণ্টায় ইসরাইলি বোমা হামলায় নিহত কয়েকজন বন্দীর নামও প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ইসরাইলি হামলায় এ পর্যন্ত ২২ বন্দী নিহত হয়েছে। তাদের একজন হলেন গাই ওলিভার। তার বয়স ২৬ বছর। তিনি তেল আবিবের বাসিন্দা ছিলেন।
ওবায়দা বলেন, `গাজায় বর্বর হামলার মধ্যেই আমরা বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের অতিথি হিসেবে সমাদর করছি। আমরা তাদের জন্য কোনো অসুবিধার সৃষ্টি করছি না।`
এদিকে পৃথক এব সাক্ষাতকারে হামাসের প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব এবং সাবেক রাজনৈতিক নেতা খালেদ মেশাল বলেছেন, ইসরাইলি কারাগারগুলোতে প্রায় ৬০০০ ফিলিস্তিনি বন্দী আছে। তিনি দাবি করেন, ইসরাইলি বন্দীদের বিনিময়ে তাদের সকলের মুক্তি নিশ্চিত করা সম্ভব। তিনি বলেন, তাদের হাতে ইসরাইলি ডিফেন্স ফোর্সের গাজা ডিভিশনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও রয়েছেন।
তিনি আরো বরেন, গাজাবাসী উপত্যকা ত্যাগ করবে না। তিনি বলেন, তাদের স্থানচ্যুতি মিসরের জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষতি করবে এবং জর্ডানের জন্য বিপদের কারণ হবে। তিনি ফিলিস্তিনিদের গণহারে সরে যাওয়া পশ্চিম তীরের জন্য একটি নজির সৃষ্টি করতে পারে।
তিনি লেবাননের হিজবুল্লাহর প্রশংসা করে বলেন, তারা ইসরাইলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, হামাসের আরো সমর্থন প্রয়োজন।
টিএইচ