শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

ইসরায়েলি নৃশংসতায় গাজার ১ শতাংশ মানুষ নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইসরায়েলি নৃশংসতায় গাজার ১ শতাংশ মানুষ নিহত

গত ২৪ ঘণ্টার গাজা উপত্যাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরতায় আরও ১৮৭ জন ফিলিস্তিনি  নিহত হয়েছেন। এর ফলে উপত্যাকায় মোট নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২১ হাজার ৫০৭ জনে, যা শতাংশ হিসেবে গাজার মোট জনসংখ্যার এক শতাংশ। আজ শনিবার ভোরে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

যুদ্ধের সংবাদ সংগ্রহের জন্য বর্তমানে গাজায় অবস্থান করা সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিস, উত্তরাঞ্চলীয় নুসেইরাত শরণার্থী শিবির এবং গাজার মধ্যাঞ্চলে ব্যাপক গুলি ও গোলা নিক্ষেপ করেছে ইসরায়েলের স্থল বাহিনী। পাশাপাশি বোমা বর্ষণ করেছে বিমান বাহিনীও।

ডিসেম্বরের শুরুর দিকেই খান ইউনিস দখল করেছিল ইসরায়েলি সেনারা। সেখান থেকেই সর্বশেষ অভিযানটি পরিচালনা করা হয়েছে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালেন্ত শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, গাজায় অভিযানরত রুশ সেনারা বর্তমানে হামাসের বিভিন্ন কমান্ড সেন্টার এবং অস্ত্রাগারের ধংস করছে। সর্বশেষ সেখানকার একটি সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ক ধ্বংস করা হয়েছে। এই নেটওয়ার্কটির সঙ্গে গাজায় হামাসের শীর্ষ নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের বাসভবনের সংযোগ ছিলো।

এদিকে, ইসরায়েলি বাহিনীর সর্বশেষ হামলায় নিহত ১৮৭ জনের মধ্যে একজন সাংবাদিকও রয়েছেন। গাজাভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল-কুদস টিভিতে কর্মরত ওই সাংবাদিক ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর আশ্রয় নিয়েছিলেন নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে।

শুক্রবার নুসেইরাতে ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর গোলায় সপরিবারে নিহত হয়েছেন সেই সাংবাদিক।

প্রসঙ্গত, ত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্তে হামাস যোদ্ধারা অতর্কিত হামলা চালানোর পর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। ২৮ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও।

ইসরায়েলি বাহিনীর টানা দেড় মাসের অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা, নিহত হয়েছেন ২১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। এই নিহতদের ৭০ শতাংশই নারী, শিশু,অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোর-কিশোরী এবং বয়স্ক লোকজন। সেই সঙ্গে আহত হয়েছেন আরও ৫৪ হাজার ৯৬৮ জন এবং এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ৭ হাজার জন।। এছাড়া হাজার হাজার পরিবার বাড়িঘর-সহায় সম্বল হারিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বিভিন্ন স্কুল, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল প্রাঙ্গণে।

অন্যদিকে, হামাসের গত ৭ অক্টোবরের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক। পাশাপাশি, ইসরায়েলের ভূখণ্ড থেকে ২৪২ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিকদের সেদিন জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে গিয়েছিল হামাস যোদ্ধারা, তাদের মধ্যে এখনও মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছেন শতাধিক জিম্মি। সূত্র: রয়টার্স

টিএইচ