দখলদার ইসরায়েল ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১১ লাখ বাসিন্দাকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে জাতিসংঘকে এ কথা জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে এবার মুখ খুলেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) হামাসের রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ব্যুরোর প্রধান বাসেম নাইম এ বিষয়ে বলেন, উপত্যকার উত্তর অংশ থেকে ১০ লাখেরও বেশি বেসামরিক নাগরিককে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল। কিন্তু গাজার ফিলিস্তিনিরা তাদের মাতৃভূমি ছেড়ে কোথাও যাবে না।
তিনি জানান, আমাদের কাছে দুটি বিকল্প আছে। হয় এই দখলদারিত্বকে পরাস্ত করব, নতুবা বাড়িতেই প্রাণ দেব। আমরা গাজা ছেড়ে কোথাও যাচ্ছি না। আমরা আরেকটি নাকাবার পুনরাবৃত্তি হতে দেব না। নাকাবা বলতে ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল যখন গঠিত হয়েছিল, তখন ফিলিস্তিনিদের ব্যাপক বাস্তুচ্যুতির প্রতি ইঙ্গিত করেন তিনি।
বাসেম নাইম বলেন, শনিবার হামাস যে হামলা চালিয়েছে, তা ১৭ বছর ধরে সহ্য করা গাজার শ্বাসরুদ্ধকর অবরোধের ফল। আমরা নীরবে মারা যাচ্ছিলাম। আমরা এই উন্মুক্ত কারাগার থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেছি। আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্তরে আমাদের আওয়াজ তোলার চেষ্টা করেছি। আমরা যা করছি, তা প্রতিরক্ষামূলক কাজ। আমরা আমাদের অস্তিত্ব রক্ষা করছি।
তিনি বলেন, আমরা স্বাধীনতা ও মর্যাদায় বাঁচতে চাই, আমাদের এই দখলদারিত্ব থেকে মুক্তি দিতে হবে। ইসরায়েলি দখলদারিত্বই হলো এই অঞ্চলের সব অনিষ্টের মূল।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় হামাস। এই হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন এক হাজার ৩০০ জন। এ ঘটনায় ইসরায়েলের বেশ কিছু নাগরিককে বন্দি করেছে হামাস। এর জবাবে গাজার শাসক গোষ্ঠীটিকে ‘মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার’ প্রতিজ্ঞা করে পাল্টা অভিযান শুরু করে ইসরায়েল।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলায় ইতোমধ্যে গাজায় এক হাজার ৫৩৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫০০ শিশু ও ২৭৬ জন নারী রয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৬ হাজার ৬১২ জন। সূত্র : আলজাজিরা
টিএইচ