পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ার লেক ভিক্টোরিয়ায় যাত্রীবাহী একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১৯ জন নিহত হয়েছে। দেশটির উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের শহর বুকোবায় অবতরণের সময় ৪৩ জন আরোহী নিয়ে বিমানটি ভিক্টোরিয়া লেকে বিধ্বস্ত হয়।
রোববার (৬ নভেম্বর) দেশটির বুকোবা শহরের একটি বিমানবন্দরে অবতরণের চেষ্টা করার সময় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাতে এ দুর্ঘটনায় হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রাথমিকভাবে ২৬ জন আরোহীকে জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। দুইজন পাইলট বিমানটির ককপিট থেকে স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তারা হয়তো মারা গেছেন বলে ধারনা করা হচ্ছে। অন্য যাত্রীদের উদ্ধারে তল্লাশি চালাচ্ছেন উদ্ধারকর্মী ও স্থানীয় জেলেরা।
বিমানটি তানজানিয়ার সবচেয়ে বড় শহর দার এস সালাম থেকে মাঞ্জা এলাকা হয়ে বুকোবায় আসছিল। এ সময় ঝড় ও ভারী বৃষ্টির কবলে পড়ে বিমানটি। তখন বিমানবন্দরে এই ফ্লাইট আসার অপেক্ষায় ছিলেন আবদুল নূরী নামের এক ব্যক্তি। তিনি বিমানটি লেকে পড়তে দেখেন।
আবদুল নূরী জানান, তারা তখন খুবই অবাক হয়েছিলেন। ভয়ে অনেকে কাঁদতে ও চিল্লাতে শুরু করে। উদ্বিগ্ন এসব মানুষের বেশির ভাগ তাদের স্বজনদের ফেরার অপেক্ষায় ছিলেন।
প্রথম দুর্ঘটনাস্থলে যাওয়া স্থানীয় জেলেদের সঙ্গে কথা হয়েছে আবদুল নূরীর। জেলেরা নূরীকে জানান, বিমানটির বেশির ভাগ অংশ পানিতে ডুবে যায়। এ সময় একজন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট বিমানটির পেছনের দরজাটি খুলে দেন। এরপরই তারা ভেতরে ঢুকে জীবিত ব্যক্তিদের উদ্ধারে তল্লাশি শুরু করেন।
দেশটির জরুরি সেবা বিভাগের কর্মীরা রশি দিয়ে তেনে বিমানটিকে তীরে নিয়ে আসার চেষ্টা করছেন। এরপরই বিমানটির কিছু অংশ ভেসে উঠতে দেখা যায়।
তানজানিয়ার প্রধানমন্ত্রী কাসিম মাজালিওয়া বলেছেন, তানজানিয়ার লেক ভিক্টোরিয়ায় প্রেসিশন এয়ারের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ঊনিশ জন নিহত হয়েছে। খারাপ আবহাওয়ার কারণে বিমানবন্দরে অবতরণের চেষ্টা করলে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
মাজালিওয়া উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর বুকোবাতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘সমস্ত তানজানিয়ানরা এই ১৯ জনের শোকে নিমজ্জিত।’
এদিকে, দেশটির প্রেসিডেন্ট সামিয়া সুলুহু হাসান দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানান। তিনি এক টুইটে বলেন, ‘উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকা অবস্থায় আসুন আমরা শান্ত থাকি ও ঈশ্বরের কাছে সাহায্যের জন্য প্রার্থনা করি।’
টিএইচ