ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। দেশটির পার্লামেন্ট নেসেটের সদস্যদের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে শপথগ্রহণ করেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে নেতানিয়াহু তৃতীয় দফায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী হলেন।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটে নেতানিয়াহুর সরকার নিয়ে অনাস্থা ভোট হয়। ১২০ সদস্যের নেসেটে তার নতুন সরকারের পক্ষে ভোট দেন ৬৩ জন। বিপক্ষে ভোট পড়ে ৫৪টি।
নেতানিয়াহুর এই শপথগ্রহণ ইসরায়েলের ক্ষমতায় সবচেয়ে কট্টরপন্থীদের প্রত্যাবর্তন এবং এমন একটি সরকারের আগমন ঘটিয়েছে; যা ইতোমধ্যে ফিলিস্তিনিদের পাশাপাশি বামপন্থী ইসরায়েলিদের মাঝে ভয়ের সৃষ্টি করেছে।
৭৩ বছর বয়সী নেতানিয়াহু এর আগে ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৯ এবং তারপর ২০০৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। বৃহস্পতিবারের আস্থা ভোটের আগে ইসরায়েলি সংসদের অধিবেশনে ভাষণ দিয়েছিলেন তিনি।
সংসদে ভাষণ দেওয়ার সময় বিরোধিরা তাকে প্রশ্নবানে জর্জরিত করেন। বিরোধী দলগুলো নেতানিয়াহুর ভাষণের সময় তাকে উদ্দেশ্য করে ‘দুর্বল’, ‘দুর্বল’ বলে স্লোগানও দেন।
ইসরায়েলের নতুন সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর আরব-ইসরায়েল দ্বন্দ্বের অবসানই তার সর্বাধিক অগ্রাধিকার পাবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন নেতানিয়াহু। একই সাথে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ এবং ইসরায়েলের সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।
নেতানিয়াহুর শপথ গ্রহণের বিরোধিতা করে পশ্চিম জেরুজালেমে ইসরায়েলের সংসদ ভবনের বাইরে বিক্ষোভ করেছেন বামপন্থী রাজনীতিকরা। বিক্ষোভস্থান থেকে আল জাজিরার প্রতি সারা খাইরাত বলেন, ‘এই সরকার গঠন আগের যেকোনও সরকারের চেয়ে অনেকটাই আলাদা। ইসরায়েলের নতুন এই সরকার সবচেয়ে কট্টর-অর্থোডক্স, কট্টর-ইহুদি ও কট্টর-জাতীয়তাবাদীদের জোটের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে।
তবে নেতানিয়াহু এখনও অভ্যন্তরীণ সংকটের বিষয়ে বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর এই বিষয়ে তিনি ইসরায়েলিদের বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। সারা খাইরাত বলেছেন, দ্রব্য মূল্য হ্রাস এবং অর্থনৈতিকভাবে যারা কঠিন সময়ের মুখোমুখি হয়েছেন, তাদের সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নেতানিয়াহু।
টিএইচ