সমুদ্রে ডুবে যাওয়া থাইল্যান্ডের যুদ্ধজাহাজের ৬ নাবিকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে দেশটির নৌবাহিনীর সদস্যরা। মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) থাইল্যান্ডের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে ডুবে যাওয়া ওই যুদ্ধজাহাজের চার নাবিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে দেশটির নৌবাহিনী প্রধান জানিয়েছেন। এর আগে গত রোববার রাতে ঝড়ের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পর ১০৫ জন ক্রু নিয়ে জাহাজটি ডুবে যায়। খবর এএফপি’র।
রয়্যাল থাই নেভির কমান্ডার-ইন-চিফ চোয়েংচাই চমচোয়েংপেট ব্যাংককে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছে ২৩ জন।
বিবিসি জানিয়েছে, উদ্ধারকারী দলগুলো এখন পর্যন্ত ৭৬ জনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে, যার মধ্যে ঝঞ্ঝাবিহ্বল দুই রাত সমুদ্রে কাটানোর পর মঙ্গলবার জীবিত উদ্ধার হওয়া এক নাবিকও রয়েছেন।
তাদের খোঁজে থাইল্যান্ড উপসাগরে ৫০ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে নিরবচ্ছিন্ন অনুসন্ধান কাজ চলছে।
থাইল্যান্ডের নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল চোনলাথিস নাভানুগ্রহ বলেছেন, যুদ্ধজাহাজ ডুবে যাওয়ার ৪১ ঘণ্টা পর আমরা জীবিত একজনকে উদ্ধার করেছি। আমাদের বিশ্বাস, সেখানে এখনো জীবিত মানুষ আছেন। আমরা উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাব।
এর আগে নৌবাহিনীর এক কমান্ডার বলেছিলেন, লাইফ জ্যাকেট, বয়া এবং নাবিকদের ভেসে থাকার কৌশল আমাদেরকে তাদের জীবন বাঁচাতে ৪৮ ঘণ্টার মতো সময় দিচ্ছে। তাদেরকে উদ্ধারে আমরা সাধ্যমতো সব কিছু করবো।
মঙ্গলবার উদ্ধার হওয়া নাবিক একটি বয়া ধরে ভাসছিলেন। ক্যাপ্টেন কোরাউয়ি-পাপারউইত বলেছেন, উদ্ধার ওই ব্যক্তির জ্ঞান আছে। তিনি মাথায় সামান্য আঘাত পেয়েছেন। দীর্ঘ সময় ধরে সমুদ্রের পানি লাগায় তার চোখে জ্বালাপোড়া হচ্ছিল।
বেশকিছু নাবিককে একটি ভেলা থেকেও উদ্ধার করা হয়; ওই নাবিকরা ডুবে যাওয়া জাহাজ থেকে লাফিয়ে ভেলায় উঠে পড়েছিলেন।
টিএইচ