পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরিত হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন অন্তত তিনজন।
শুক্রবার (২ নভেম্বর) রাত ১১টা ১৫ মিনিটের দিকে এই বিস্ফোরণ হয়। ঘটনাস্থলে তৃণমূলের জ্যেষ্ঠ নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল আজ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন অনুসারে, শুক্রবার রাত ১১টা ১৫ মিনিটের দিকে মেদিনীপুর জেলার নারিয়াবিলা গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ প্রেসিডেন্টের বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিস্ফোরণের ফলে ওই নেতার বাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে।
নিহত তৃণমূল নেতার নাম রাজকুমার মান্না। এলাকার তৃণমূলের বুথ সভাপতি হিসাবে পরিচিত তিনি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই ঘটনায় নিহত বাকি দু’জন দেবকুমার মান্না ও বিশ্বজিৎ গায়েন। রাজকুমার এবং দেবকুমার সম্পর্কে দুই ভাই। আহতদের উদ্ধার করে পশ্চিম মেদিনীপুরে একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার কাঁথিতে সভা করছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও সাংসদ অভিষেক। অভিষেক যেখানে সভা করছেন, সেখান থেকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কাঁথির বাড়ি খুব কাছে। তাই সভার আগে পুরো এলাকা পুলিশি নিরাপত্তার চাদরে ঘিরে ফেলা হয়েছে। ঘিরে ফেলা হয়েছে শুভেন্দুর বাড়ি শান্তিকুঞ্জও। সভার ঠিক আগে ঘটেছে এই বিস্ফোরণের ঘটনা। যাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) অভিযোগ, রাজকুমার নিজের বাড়িতে বোমা তৈরির কাজ করছিলেন। তখনই অসাবধানতাবশত বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের মাত্রা এতটাই বেশি ছিল যে, বাড়ি পর্যন্ত উড়ে যায়। নিহত এবং আহতরা তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী বলেও স্থানীয় বিজেপি নেতারা অভিযোগ করেছেন।
ভগবানপুরের বিজেপিদলীয় নেতা ও বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি বলেন, ‘রাতের অন্ধকারে বোমা তৈরি করতে গিয়েই এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের উপস্থিতিতে মৃতদেহ গায়েব করার চক্রান্ত চলছে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি না করে পশ্চিম মেদিনীপুরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মৃতের সংখ্যা আরও বেশি বলে মনে করছি। বিষয়টি পুলিশ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।’
ভগবানপুরের বিস্ফোরণের ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি জানাবেন বলেও জানিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ। কাঁথি সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তাপস কুমার দোলুই বলেন, ‘তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমা বানাতে গিয়ে এই বিপত্তি ঘটেছে। তৃণমূল নেতা-সহ দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি আমরা আরও খোঁজখবর নিয়ে দেখছি।’
ইএফ