ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের হাসপাতালে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১৪ জন নিহত হয়েছেন, আহত আরও ২৪ জন। এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পেছনে ইউক্রেনকে দায়ী করেছে রাশিয়া। পাশাপাশি এ অঞ্চলটি রাশিয়ার দখলে রয়েছে বলেও দাবি করছে মস্কো। খবর কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার
রোববার (২৯ জানুয়ারি) কাতারভিত্তিক এ সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, রুশ-নিয়ন্ত্রিত এ অঞ্চলে হামলার জন্য ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীকে অভিযুক্ত করেছে রাশিয়া। পাশাপাশি এ হামলাকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে অভিহিত করেছে। তবে রাশিয়ার এ অভিযোগের বিষয়ে শনিবার (২৮ জানুয়ারি) ইউক্রেন কোন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেনি।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, পূর্ব ইউক্রেনের রাশিয়ান-নিয়ন্ত্রিত নোভোয়াইডারের একটি হাসপাতালে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা হিমারস রকেট সিস্টেম ব্যবহার করে ইউক্রেন এই আক্রমণটি পরিচালনা করে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে যে, হামলাটি রাশিয়ান-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল পূর্ব ইউক্রেনে নোভোয়াইডারের একটি হাসপাতালে হামলার ঘটনা ঘটেছে এবং মার্কিনিদের সরবরাহ করা হিমারস (HIMARS) রকেট পদ্ধতি ব্যবহার করে এটি পরিচালনা করে ইউক্রেন।
এ বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, একটি পরিচিত কার্যকরী বেসামরিক চিকিৎসালয়ে একটি ইচ্ছাকৃত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা নিঃসন্দেহে কিয়েভ সরকারের একটি গুরুতর যুদ্ধাপরাধ। এই অপরাধের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের সাথে জড়িত সকলকে খুঁজে বের করে জবাবদিহি করা হবে। এছাড়াও সামরিক ও বেসামরিক চিকিৎসকরা হাসপাতালে স্থানীয় লোকজন এবং সৈন্যদের চিকিৎসার জন্য অনেক মাস ধরে কাজ করছেন।
আল জাজিরা জানায়, ঘন ঘন সংঘাতের কারণে রাশিয়ান বাহিনীকে যুদ্ধাপরাধের জন্য অভিযুক্ত করেছে ইউক্রেন এবং তার পশ্চিমা মিত্ররা। কারণ হিসেবে তারা বলছে হাজার হাজার বেসামরিক লোক এসব হামলায় নিহত হচ্ছে এবং বিমান হামলার দ্বারা শহরগুলি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। তবে রাশিয়া বেসামরিক নাগরিকদের টার্গেট করার কথা অস্বীকার করেছে।
টিএইচ