অধিকৃত পশ্চিম তীরসহ গোটা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলি দখলদারিত্ব ও অবৈধ বসতি স্থাপন দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক নির্বাচনে ইসরায়েলের সাবেক কট্টরপন্থি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আবারও জয়লাভ করায় দখলদারিত্ব ও ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড সংযুক্তির আশঙ্কা আরও বেড়েছে।
এই পরিস্থিতিতে ক্ষমতায় আসার আগেই এ বিষয়ে নেতানিয়াহুকে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি পশ্চিম তীরে দখলদারিত্ব ও ভূমি সংযুক্তির বিরোধিতা করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে দেশটি। খবর আল-জাজিরার।
গত রোববার (৪ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের একটি বাম-ঘেঁষা ইসরায়েলপন্থি অ্যাডভোকেসি গ্রুপ জে স্ট্রিটের সাথে কথা বলেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। নেতানিয়াহুকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি।
ব্লিঙ্কেন বলেছেন, আমরা একক কোনো ব্যক্তি নয় বরং সরকার যেসব নীতি অনুসরণ করে কাজ করছে সেটির মাধ্যমে তাদের মানদণ্ড পরিমাপ করব। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের জন্য ‘নিরলসভাবে’ কাজ করবে।
তিনি আরো বলেন, দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের সম্ভাবনাকে ক্ষুণ্ন করে এমন যেকোনো কর্মকাণ্ডের দ্ব্যর্থহীনভাবে বিরোধিতা করব আমরা। যার মধ্যে (ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে) অবৈধ বসতি সম্প্রসারণ, পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলি ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযুক্তির দিকে অগ্রসর হওয়া, পবিত্র স্থানগুলোর ঐতিহাসিক স্থিতাবস্থায় ব্যাঘাত, ধ্বংস এবং উচ্ছেদসহ সহিংসতার প্ররোচনাও রয়েছে।
আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপন বা ভূখণ্ড সংযুক্তির বিরোধিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। মূলত সাবেক প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর আবারও ক্ষমতায় ফিরে আসার পথ পরিষ্কার হওয়ার পর এই কথা জানান তিনি।
এই পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনিদের আশঙ্কা, নেতানিয়াহুর অধীনে ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমে সম্ভবত আরও অবৈধ ইসরায়েলি বসতি গড়ে উঠবে। এর আগে ২০২১ সাল পর্যন্ত নেতানিয়াহু একটানা ১২ বছর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং ওই সময়কালে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলি অবৈধ বসতির রেকর্ড সম্প্রসারণ হয়েছিল।
টিএইচ