সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post
রিজার্ভ চুরি মামলায় নিউইয়র্ক সুপ্রিম কোর্টে

বাংলাদেশের পক্ষে রায়ের বিরুদ্ধে ফিলিপাইনের ব্যাংকের আপিল

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের পক্ষে রায়ের বিরুদ্ধে ফিলিপাইনের ব্যাংকের আপিল

রিজার্ভ চুরি সংক্রান্ত মামলায় গত ১৩ জানুয়ারি বাংলাদেশের পক্ষে রায় দেন নিউইয়র্কের সুপ্রিম কোর্ট। তবে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে ফিলিপাইনের অভিযুক্ত ব্যাংক রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশন (আরসিবিসি) ।

শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ফিলিপাইনের সংবাদমাধ্যম রেপ্লারডটকম।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে হ্যাকাররা বৈশ্বিক ব্যাংকিং ব্যবস্থা সুইফটে ভুয়া অর্থ স্থানান্তরের আদেশ দিয়ে নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে গচ্ছিত বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করেন। 

এই অর্থ হাতিয়ে নিতে হ্যাকাররা আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং ব্যবস্থা সুইফটে অর্থ স্থানান্তরের ৩৫টি ভুয়া বার্তা পাঠান। এর মধ্যে মাত্র দুই কোটি ডলার উদ্ধার করা হয় শ্রীলঙ্কা থেকে। বাকি ছয় কোটি দশ লাখ ডলার ফিলিপাইনের আরসিবিসি ব্যাংক হয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে চলে যায়, যা এখনো ফেরত পায়নি বাংলাদেশ।

এ ঘটনার পর থেকেই বাংলাদেশ ব্যাংক আরসিবিসি ও নিজেদের কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে দায়ী করে আসছে। তবে ম্যানিলাভিত্তিক রিজাল ব্যাংক শুরু থেকেই বাংলাদেশ ব্যাংকের এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে।

অর্থ ফিরে পেতে বাংলাদেশ নিউইয়র্কের সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে। মামলাটি বাতিল করে দিতে দুটি আবেদন জানায় রিজাল ব্যাংক। কিন্তু নিউইয়র্কের সুপ্রিম কোর্ট রায় দেন, এ মামলার কার্যক্রম চলবে।

এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক এবং রিজাল ব্যাংককে মধ্যস্থতা করতেও নির্দেশ দেন আদালত। এ রায়ের জবাবে রিজাল ব্যাংক জানায়, তারা আইনি লড়াই চালিয়ে যাবে।

অপরদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক নিউইয়র্কের সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছে। এ সপ্তাহে একটি বিবৃতি দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, এ রায়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রয়োজনীয় আইনি লড়াই চালিয়ে যেতে পারবে।

পরিচয় গোপন রাখার শর্তে বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে ঢাকার একটি সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এখন আরসিবিসিকে বাংলাদেশের সঙ্গে মধ্যস্থতা করতে হবে অথবা দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ে জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।

টিএইচ