ব্রাজিলে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে রোববার (২ অক্টোবর)। ভোটগ্রহণের একদিন আগে সবশেষ জরিপের তথ্য বলছে, দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন।
রোববার (২ অক্টোবর) প্রথম রাউন্ডেই লুলা ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেতে পারেন বলে বেশ কয়েকটি জনমত জরিপে ধারণা দেওয়া হয়েছে। তেমনটা হলে আর দ্বিতীয় রাউন্ড ভোটের প্রয়োজন পড়বে না।
জরিপ সংস্থা ডাটাফোলা বলছে, বৈধ ভোটের ৫০ শতাংশ লুলাকে বেছে নিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট জেইর বলসোনারোর পক্ষে মত দিয়েছেন ৩৬ শতাংশ। রান-অফ এড়াতে একজন প্রার্থীর ৫০ শতাংশের বেশি ভোট প্রয়োজন।
এটি ছিল ডাটাফোলার সবচেয়ে বড় জরিপ ভোটের কার্যক্রম। যেখানে ৩১০টি শহরে ১২ হাজার আটশ ব্রাজিলিয়ান ব্যক্তিগতভাবে মতামত দিয়েছেন। এটির বিশ্বাসযোগ্যতা শতকরা ৯৫ ভাগ বলে ধরা হচ্ছে।
অপরদিকে, আরেকটি সংস্থা আইপিইসির ফলাফল বলছে, লুলার পক্ষে ৫১ শতাংশ বৈধ ভোটারের সমর্থন রয়েছে। সেখানে বলসোনারোর পক্ষে সমর্থন রয়েছে ৩৭ শতাংশের। আইপিইসির জরিপে অংশ নেয় ৩ হাজার ৮ জন। জরিপ পরিচালনা করা হয় ১৮৩টি শহরে।
যদিও উভয় ভোটে ২ শতাংশ ভোট ত্রুটির কারণে এদিক-সেদিক হতে পারে। তবে জরিপের তথ্য ইঙ্গিত দেয় যে রানঅফের প্রয়োজন ছাড়াই জিততে পারেন লুলা।
আরেকটি সংস্থার জরিপ বলছে, লুলা বৈধ ৪৯ শতাংশ ভোটের স্কোর করেছেন। যেখানে বলসোনারো ৩৮ শতাংশ সমর্থন পেয়েছেন।
লুলার সমর্থকরা তার ৫০ শতাংশ ভোট নিশ্চিত করতে চাইছেন আর বলসোনারো সেই ফাঁক পূরণ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
নির্বাচনী নিয়ম অনুযায়ী, প্রথম দফায় কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশ বা তার বেশি ভোট না পেলে ৩০ অক্টোবর দ্বিতীয় দফা ভোট হবে। এতে সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া দুই প্রার্থীই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
লুলা সাংবাদিকদের বলেছেন, রোববারই নির্বাচনী দৌড়ের লড়াই শেষ হয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা করছেন তিনি।
তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ৬৭ বছর বয়সী সাবেক সেনা ক্যাপ্টেন বোলসোনারো তিন দশক ধরে ব্রাজিলের পার্লামেন্টে বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইন শিথিল এবং গর্ভপাত ও সমকামিতার বিরুদ্ধে কথা বলে গেছেন।
২০১৮ সালে রক্ষণশীলদের জোয়ার তাকে প্রেসিডেন্ট বানিয়ে দেয়।
ডানপন্থি এ রাজনীতিক সাও পাওলো ও দক্ষিণের রাজ্য সান্তা কাতারিনায় মোটর সাইকেল শোভাযাত্রা দিয়ে তার নির্বাচনী প্রচার শেষ করেছেন।
আর লুলা প্রথমে একটি ছাদখোলা গাড়িতে করে, পরে হাজার হাজার উল্লসিত সমর্থকের সঙ্গে হেঁটে প্রচার চালিয়েছেন। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মধ্যেও এদিন তাকে দেখতে হাজার হাজার সমর্থক সাও পাওলোর কেন্দ্রস্থলে হাজির হয়। লুলার এদিনের কর্মসূচির নাম ছিল ‘ওয়াক অব ভিক্টরি’।
৭৬ বছর বয়সী সাবেক এ শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা প্রথম রাউন্ডে জয়ী হচ্ছেন ধরে নিয়ে সাও পাওলোর কেন্দ্রস্থলের পলিস্তা অ্যাভেনিউতে সমাবেশের অনুমতি নিয়ে রেখেছে ওয়ার্কার্স পার্টি। ১৯৮০-র দশকে যারা দলটি বানান, লুলা ছিলেন তাদের অন্যতম।
এ নিয়ে ষষ্ঠবার তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ছেন।
টিএইচ