ভারতের উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীর টানেলে আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিকের কাছে পৌঁছেছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। এরই মধ্যে তাদের উদ্ধার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। টানেলের মুখে প্রবেশ করেছে অ্যাম্বুলেন্স।
এর আগে আজ শ্রমিকদের উদ্ধারে টানেলের ভেতর পাইপ বসানোর কাজ শেষ করেন উদ্ধারকারীরা। এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, আটকে পড়া শ্রমিকদের পরিবারকে `সুখবর` পেতে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে।
উদ্ধারকাজ জোর কদমে চললেও চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে আবহাওয়া। দ্রুত অন্ধকার নেমে আসছে পাহাড়ে। আর পাহাড়ে অন্ধকার নামা মানেই আবহাওয়ার খামখেয়ালি শুরু। হঠাৎ বৃষ্টি নেমে উদ্ধার কাজ ব্যহত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ওই অঞ্চলে বষ্টি হলে রাতের দিকে দুই ইঞ্চি পুরু বরফ জমে যায় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
কখন শ্রমিকদের বের করে আনা হবে সে বিষয়ে উদ্ধারকারীরা কোনও সময়সীমা দেননি। তবে শ্রমিকদের পরিবারকে, তাদের ব্যাগপত্র এবং পোশাক নয়ে আসতে বলা হয়েছে তাদের।
১২ নভেম্বর সকালে ব্রহ্মখাল-য়ামুনোত্রী মহাসড়কে নির্মাণাধীন টানেলে কাজ করার সময় ধস নামে। তখন এর মধ্যে আটকা পড়েন ওই ৪১ জন শ্রমিক। তারপর থেকে তাদের উদ্ধারের জন্য নেওয়া বেশ কয়েকটি পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। মনে করা হচ্ছিল যে, তাদের উদ্ধারে আরও অনেকটা সময় লাগতে পারে।
চারধাম যাত্রার রাস্তা চওড়া করার জন্য উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীর কাছে পাহাড় কেটে এই টানেল তৈরির কাজ চলছিল। চারধাম অর্থাৎ, কেদারনাথ, বদ্রীনাথ, গঙ্গোত্রী এবং য়ামুনোত্রীর সংযোগ স্থাপনে এই রাস্তা গুরুত্বপূর্ণ।
শুরু থেকেই এই রাস্তা নিয়ে নানা আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন বিজ্ঞানী এবং পরিবেশবিদেরা। যেভাবে হিমালয় কাটা হচ্ছে, তা অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে জানান পরিবেশবিদ দীপায়ন দে এবং বিভাংশু কাপারওয়ান। সুড়ঙ্গে ধস নামার আশঙ্কাও প্রকাশ করেছিলেন তারা। তারা বলছেন, শ্রমিকদের উদ্ধার করার পর এই প্রকল্পটি নিয়ে নতুন করে ভাবা উচিত সরকারের।
টিএইচ