ভূমিকম্পে ধসে পড়া ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ১৩ দিন পর শিশুসহ তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
হাতায় প্রদেশের রাজধানী আন্তাকিয়ার কানাটলি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকের নিচে ২৯৬ ঘণ্টা চাপা পড়ে থাকার পর উদ্ধার হওয়া নারী, পুরুষ এবং শিশুকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, উদ্ধারকারীরা একজন পুরুষ ও এক নারীকে স্ট্রেচারে করে অ্যাম্বুলেন্সের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তাদের পাশেই উদ্ধার হওয়া এক শিশুকে চিকিৎসা দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
তুরস্কের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম টিআরটি বলেছে, ওই ভবনের নিচে আরও কেউ জীবিত চাপা পড়ে আছেন কিনা, সেজন্য উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ভবনটির পাশেই একটি অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে ১৩তম দিনে মৃতের সংখ্যা ৪৫ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মাঝে তুরস্কে ৩৯ হাজার ৬৭২ এবং সিরিয়ায় ৫ হাজার ৮০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া অসংখ্য মানুষ খুব কষ্টে বেঁচে আছেন। তাদের ভালো কোনো আশ্রয়ও নেই।
গত শুক্রবার ভূমিকম্পের ১২তম দিনে এসেও এক ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার করা হয় ধ্বংসস্তূপ থেকে। উদ্ধার হওয়া ওই ব্যক্তির বয়স ৪৫ বছর। এর কয়েক ঘণ্টা পর ১৪ বছর বয়সী বালকসহ তিনজনকে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
তুরস্ক-সিরিয়ায় ভয়াবহ এ ধ্বংসযজ্ঞের ক্ষত মুছতে আরও বহুদিন লেগে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে মোট ৫০ হাজার ৫৭৬টি ভবন পুরোপুরি ধসে পড়েছে অথবা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক আন্তর্জাতিক উদ্ধারকারী দল বিশাল ভূমিকম্প অঞ্চল ছেড়ে চলে গেছে। কিন্তু দেশীয় উদ্ধারকারী দলগুলো এখনও আরও অনেককে জীবিত খুঁজে পাওয়ার আশায় অনুসন্ধান অব্যাহত রেখেছে।
টিএইচ