শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

মাউন্ট ফুজির ১৩০ বছরের রেকর্ড!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মাউন্ট ফুজির ১৩০ বছরের রেকর্ড!

জাপানের মাউন্ট ফুজিতে এ মৌসুমে ইতিহাসের সবচেয়ে দেরিতে তুষারপাত হয়েছে। বুধবার (৬ নভেম্বর) ১২ হাজার ফুট উঁচু চূড়ায় তুষারপাত শুরু হয়, যা ১৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে দেরিতে।

এবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এ মৌসুমের প্রথম তুষারপাতের সর্বশেষ সম্ভাব্য সময় ধরা হয়েছিল ২৯ অক্টোবর। কিন্তু পূর্বাভাস অনুযায়ী তা না হয়ে এক সপ্তাহ দেরিতে তুষারপাত হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সবচেয়ে দেরিতে তুষারপাতের পেছনে অস্বাভাবিক উষ্ণ আবহাওয়াজনিত কারণ থাকতে পারে।

প্রতি বছর ফুজি তুষারে ঢেকে যাওয়ার ঘটনা সরকারিভাবে ঘোষণা করে কোফুর স্থানীয় আবহাওয়া অফিস। তারা জানায়, স্থানীয় সময় সকাল সোয়া ৬টায় মাউন্ট ফুজির শিখর তুষারে ঢেকে যায়। ধীরে ধীরে সেখানে তুষারের আস্তরণ জমা হচ্ছে। এতে সকাল ৭টার দিকে শিযুওকা ও ইয়ামানাশি অঞ্চলের ৩ হাজার ৭৭৬ মিটার উঁচু পর্বতের চূড়ায় তাপমাত্রা মাইনাস ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে।

জাপানের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে এবার নির্ধারিত সময়ের পরে ফুজির শিখর তুষারে ঢেকেছে। এর আগে ১৯৫৫ ও ২০১৬ সালে ২৬ অক্টোবর তুষারপাত হয়েছিল। এবার আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেল।

সাধারণত মাউন্ট ফুজিতে প্রথম তুষারপাত ২ অক্টোবর শুরু হয়। তবে ২০২৩ সালের রেকর্ডে দেখা গেছে প্রথম তুষারপাত হয় ৫ অক্টোবর। আর এ বছর সব রেকর্ড ভেঙে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ফুজি তুষারশূন্য ছিল।

ফুজি জাপানের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ। এটি একটি লাভাগঠিত সক্রিয় আগ্নেয়গিরি। ১৭০৭-০৮ সালে এখানে সর্বশেষ অগ্নুৎপাতের ঘটনা ঘটে। রাজধানী টোকিও থেকে ১০০ কিলোমিটার (৬০ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে হনশু দ্বীপে মাউন্ট ফুজি অবস্থিত।

মেঘমুক্ত পরিষ্কার দিনে টোকিও থেকে এটিকে দেখা যায়। মাউন্ট ফুজির জ্বালামুখটি আশ্চর্য রকমভাবে প্রতিসম যা বছরের বেশ কয়েক মাস বরফাচ্ছাদিত থাকে। এটি জাপানের একটি সুপরিচিত প্রতীক এবং জাপানের শিল্পকলা ও স্থিরচিত্রে প্রায়শই এটিকে দেখা যায়।

পর্যটক ও পর্বতারোহীদের কাছে মাউন্ট ফুজি একটি জনপ্রিয় স্থান। এটি জাপানের তিনটি পবিত্র পর্বতের একটি। অপর দুটি হলো, মাউন্ট তাতে এবং মাউন্ট হাকু। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং ঐতিহাসিক দিক দিয়ে এটি একটি বিশেষ স্থান। ২০১৩ সালের ২২ জুন সংস্কৃতিক এলাকা হিসেবে এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় যুক্ত করা হয়।

টিএইচ