ভারতের উত্তরপ্রদেশের উন্নাওতে আবার ধর্ষণের শিকার এক তরুণী। তিনি স্থানীয় একটি কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন । ধর্ষণের পর গোপনাঙ্গ থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তরুণীর মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। ধর্ষণের অভিযোগে ২৫ বছর বয়সি এক যুবককে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত যুবকের নাম রাজ গৌতম। খবর আনন্দবাজারের।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিজের বাড়িতে একা থাকার সময় অভিযুক্ত যুবক তাকে ধর্ষণ করেন। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে রাজ গৌতম দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন। পুলিশকে জানিয়েছেন, ধর্ষণের আগে শক্তিবর্ধক ওষুধ খেয়েছিলেন তিনি।
স্থানীয় পুলিশ সুপার সিদ্ধার্থ শঙ্কর জানান, ধর্ষণের সময় তরুণী জ্ঞান হারান। এরপর তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় রেখে পালিয়ে যান গৌতম। তরুণীর বোন বাড়িতে ফিরে এসে তাকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে হাসপাতালে নিয়ে যান। পরক্ষণেই চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশ সুপার সিদ্ধার্থ শঙ্কর সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, ধর্ষণের সময় ওই তরুণী জ্ঞান হারান এবং অভিযুক্ত তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে পালিয়ে যান। পরে তরুণীর বোন বাড়িতে ফিরে তাঁকে অচৈতন্য অবস্থায় বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন। তরুণীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তরুণীকে যে ধর্ষণ করা হয়েছে, ময়নাতদন্তে সেই তথ্যও উঠে এসেছে। শারীরিক নির্যাতনের সময় বলপ্রয়োগ করার কারণে এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তরুণীর মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশের অনুমান।
নির্যাতিতার বাবা এর আগে এক প্রতিবেশী এবং ৬৫ বছর বয়সি এক মহিলার বিরুদ্ধে মেয়েকে খুন করার অভিযোগ এনেছিলেন। তদন্তে নেমে নির্যাতিতার মোবাইল ফোনের তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত গৌতমকে।
ইএফ