এ বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাচ্ছেন বেলারুশের মানবাধিকারকর্মী আলেস বায়ালাৎস্কি এবং রাশিয়া ও ইউক্রেনের দুই মানবাধিকার সংগঠন।
বেলারুশের মানবাধিকারকর্মীর পাশাপাশি রাশিয়ার মানবাধিকার সংগঠন মেমোরিয়াল এবং ইউক্রেনের মানবাধিকার সংগঠন সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিস।
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় দুপুর ৩ টায় অসলোতে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি ২০২২ সালের শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য তাদের নাম ঘোষণা করে।
নোবেল কমিটি বলেছে, নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ীরা তাদের নিজ নিজ দেশে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিত্ব করে। তারা অনেক বছর ধরে ক্ষমতাসীনদের সমালোচনা এবং নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের সুরক্ষায় প্রচার চালিয়ে আসছে।
যুদ্ধাপরাধ, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের মতো বিষয়গুলো নথিভুক্ত করার প্রচেষ্টার জন্যও শান্তির এই নোবেলবিজয়ীরা প্রশংসিত।
শান্তিতে নোবেলজয়ী নির্বাচনের দায়িত্ব নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির। সব নোবেল পুরস্কার সুইডেনের স্টকহোম থেকে ঘোষণা দেওয়া হলেও শান্তি পুরস্কার ঘোষণা দেওয়া হয় নরওয়ের অসলো থেকে। কাজটি আলফ্রেড নোবেলের ইচ্ছাপত্র অনুযায়ীই করা হয়।
উনবিংশ শতাব্দীতে সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেল আবিষ্কার করেছিলেন ডিনামাইট নামের ব্যাপক বিধ্বংসী বিস্ফোরক, যা তাকে বিপুল পরিমাণ অর্থ-সম্পত্তির মালিক করে তোলে।
মৃত্যুর আগে তিনি উইল করে যান— প্রতি বছর ৫টি বিষয়ে যারা বিশেষ আবদান রাখবেন তাদের যেন এই অর্থ থেকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। ওই ৫ বিষয় হলো— চিকিৎসা, পদার্থ, রসায়ন, সাহিত্য ও শান্তি। ১৯০১ সাল থেকে শুরু হয় নোবেল পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান।
অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার প্রবর্তন করা হয় অনেক পরে ১৯৬৮ সালে। ব্যাংক অব সুইডেন আলফ্রেড নোবেলের স্মৃতিতে এই পুরস্কার চালু করে।
টিএইচ