গাজায় হামাস-ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি আরও দুইদিন বেড়েছে। সোমবার (২৭ নভেম্বর) রাতে যুদ্ধবিরতি মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করে। রয়টার্স।
কাতারের মুখপাত্র মাজেদ আল আনসারি এ বিষয়ে মাইক্রো ব্লগিং প্লাটফর্ম এক্সে বার্তা দেন। হামাসও যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর কথা নিশ্চিত করেছে, তবে ইসরায়েল তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গাজায় মানবিক বিরতির উল্লেখ করে কাতার ও মিসরের পাশাপাশি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
২৪ নভেম্বর শুরু হওয়া চারদিনের যুদ্ধবিরতির শেষ দিন ছিল গতকাল সোমবার। ওই দিন হামাস ১১ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে। যাদের সবাই দ্বৈত নাগরিক বলে জানিয়েছে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে তিনজন ফরাসি, দুজন জার্মান ও ছয়জন আর্জেন্টিনার নাগরিক রয়েছেন।
অন্যদিকে ৩৩ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। এদের মধ্যে তিনজন নারী, বাকি সবাই শিশু-কিশোর।
চারদিনের যুদ্ধবিরতিতে হামাস ৬৯ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে। যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী ৫০ জনকে মুক্তির দেয়ার বিষয়ে একমত হয়েছিল স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীটি। তবে কতজন বিদেশী নাগরিককে মুক্তি দেয়া হবে এ বিষয়ে স্পষ্ট কোনো সীমা ছিল না।
ইসরায়েলের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী গাজায় এখনো ১৮৪ জন জিম্মি রয়েছে। যার মধ্যে ১৪ জন বিদেশী ও ৮৪ জনের দ্বৈত নাগরিত্ব রয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় এক হাজার ২০০ ইসরায়েলি মারা যায়। অন্যদিকে ইসরায়েলের সর্বাত্মক যুদ্ধে গাজায় ১৫ হাজারের মতো ফিলিস্তিনি নিহত হন। যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। সোমবার হামাস-ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির শেষদিন। তবে এর মাঝেও অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের হত্যা বন্ধ করেনি ইসরায়েল।
টিএইচ