গত ২৪ ঘণ্টায় হামাসের ২০ যোদ্ধাকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, হামাস যোদ্ধাদের অধিকাংশই নিহত হয়েছেন গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরে। এর মধ্যে ১৫ জনই একটি বিমান হামলার ঘটনায় নিহত হয়েছেন।
এছাড়া উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বেইত হ্যানোন শহরে একটি সামরিক কম্পাউন্ডে একটি যুদ্ধবিমান থেকে চালানো হামলায় দুই যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় যেসব যোদ্ধা নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে দুজন গত ৭ অক্টোবরের হামলায় অংশ নেয়।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল। হামাসের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযান চালানো হচ্ছে। এমনকি হামাসকে নির্মূলের অজুহাতে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর প্রতিদিন হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলায় এখন পর্যন্ত ৩০ হাজার ৭১৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে ৭২ হাজার ১৫৬ জন। গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়। ফলে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে লড়াই অব্যাহত রয়েছে। ইসরায়েলের হামলায় প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছেন বেসামরিক নাগরিকরা। তাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে ইসরায়েলের হামলায় নতুন করে আরও অন্তত ৯৭ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১২৩ জন।
এদিকে গাজায় ত্রাণবহর ঢুকতে দিচ্ছে না ইসরায়েল। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি জানিয়েছে, উত্তর গাজায় একটি ত্রাণবহরকে প্রবেশ করতে দেয়নি ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। সংস্থাটি জানিয়েছে, দুর্ভিক্ষ এড়াতে গাজার উত্তরে ত্রাণবহরের প্রবেশাধিকার দিতে হবে।
হামাস বলছে, যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলছে। কিন্তু ‘বল এখন ইসরায়েলের কোর্টে’। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, যুদ্ধবিরতিতে যেসব বাধা আসছে তা অপ্রতিরোধ্য নয়। এদিকে দক্ষিণ লেবাননের হৌলা গ্রামে ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলায় এক হিজবুল্লাহ সদস্য, তার স্ত্রী এবং তাদের সন্তান নিহত হয়েছে।
টিএইচ