মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। বিজ্ঞপ্তিটি ‘চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি’ নামে পরিচিত হবে।
বুধবার (২১ ডিসেম্বর) এনটিআরসিএ সদস্য (শিক্ষাতত্ত্ব ও শিক্ষামান) এ বি এম শওকত ইকবাল শাহীন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৬৮ হাজার ৩৯০টি শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। এর আগে দেশের বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় একসঙ্গে এত বেশি শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়নি।
এতে দেখা যায়, স্কুল ও কলেজে ৩১ হাজার ৫০৮টি শূন্য পদ এবং মাদ্রাসা, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে ৩৬ হাজার ৮৮২টি শূন্য পদ রয়েছে।
আবেদন করতে হবে অনলাইনে (http://ngi.teletalk.com.bd) ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ থেকে ২৯ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখের মধ্যে।
বিজ্ঞপ্তির উল্লেখযোগ্য অংশ এখানে তুলে ধরা হলো—
♦ ৬৮৩৯০টি শূন্য পদের বিষয় ও পদভিত্তিক তালিকা এনটিআরসিএর ওয়েবসাইট (www.ntrca.gov.bd) ও আবেদনের সাইটে ২৯ ডিসেম্বর দুপুর ১২টায় প্রকাশ করা হবে।
♦ আবেদনকারীর যোগ্যতা: আবশ্যিকভাবে আবেদনকারীকে নিম্নরূপ যোগ্যতাসম্পন্ন হতে হবে।
(ক) সংশ্লিষ্ট বিষয়, পদ ও প্রতিষ্ঠানের ধরন অনুযায়ী নিবন্ধনধারী হতে হবে;
(খ) এনটিআরসিএ কর্তৃক প্রকাশিত সম্মিলিত মেধা তালিকার অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে;
(গ) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে জারীকৃত সর্বশেষ জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন হতে হবে; (কাম্য শিক্ষা যোগ্যতার বিবরণ পাওয়া যাবে এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটে)
♦ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে জারীকৃত সর্বশেষ জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী প্রার্থীকে আবশ্যিকভাবে কেবল তার শিক্ষক নিবন্ধন সনদে উল্লিখিত বিষয়সংশ্লিষ্ট পদ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে হবে। আবেদনকারী মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে আবেদন করলে এবং তদানুযায়ী নিয়োগ সুপারিশপ্রাপ্ত হলে উক্ত সুপারিশ বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
♦ আবেদনকারীর বয়স: প্রার্থীর বয়স ২৫ মার্চ ২০২০ তারিখে ৩৫ বছর বা তার কম হতে হবে।
♦ প্রত্যেক আবেদনকারী নিবন্ধন সনদ অনুযায়ী একই পর্যায়ে (স্কুল-কলেজ) একটিমাত্র আবেদন করতে পারবেন। একজন প্রার্থী শূন্য পদের তালিকা থেকে তার আবেদনে সর্বোচ্চ ৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের Choice (পছন্দ) দিতে পারবেন। উক্ত পছন্দ প্রদানের পর কোনো প্রার্থী যদি তার Choice-বহির্ভূত দেশের যেকোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে ইচ্ছুক হন, তবে তাকে e-Application ফরমে প্রদর্শিত Other Option নামক বক্সে Yes Click করতে হবে। যদি ইচ্ছুক না হন, তবে No Click করতে হবে।
♦ প্রার্থীর আবেদনে বর্ণিত Choice-এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রার্থীর মেধাক্রম ও পছন্দক্রম অনুসারে ফলাফল Process করা হবে। যদি কোনো প্রার্থী তার Choice অনুযায়ী কোনো প্রতিষ্ঠানে নির্বাচিত না হন এবং তিনি যদি Other Option-এ Yes Click করেন সে ক্ষেত্রে শূন্য পদ থাকা সাপেক্ষে প্রার্থীর মেধাক্রম বিবেচনা করে দেশের যেকোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নির্বাচনের নিমিত্ত ফলাফল Process করা হবে।
♦ প্রতিষ্ঠান choice প্রদানের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য অনুরোধ করা হলো। যেসব প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট শূন্য পদের বিপরীতে কাম্যসংখ্যক শিক্ষার্থী নেই যেসব প্রতিষ্ঠানের এমপিও পরবর্তীতে/ভবিষ্যতে বাতিল হতে পারে বিধায় বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত যেসব এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান শূন্য পদের বিপরীতে কাম্যসংখ্যক শিক্ষার্থী নেই সেসব পদে পরবর্তীতে/ভবিষ্যতে নিয়োগ সুপারিশ প্রদান করা যাবে না।
♦ কোনো প্রার্থীর যদি স্কুল ও কলেজ উভয় পর্যায়ের সনদ থাকে এবং তিনি যদি উভয় পর্যায়ের পদে আবেদন করেন, তবে প্রথমে তাকে কলেজ পর্যায়ে বিবেচনা করা হবে। কলেজ পর্যায়ে নির্বাচিত না হলে স্কুল পর্যায়ে বিবেচনা করা হবে। কলেজ পর্যায়ে নির্বাচিত হলে স্কুল পর্যায়ে বিবেচনা করা হবে না।
১০। সব আবেদনের জন্য আবেদনকারীকে নির্ধারিত এক হাজার টাকা ফি প্রদান করতে হবে। নির্ধারিত ফি প্রদান না করলে আবেদনটি বাতিল হবে।
♦ আবেদন ফি প্রদানের তারিখ ও সময়: (ক) e-Application পূরণ ও ফি জমা প্রদান শুরুর তারিখ ও সময় ২৯/১২/২০২২ তারিখ দুপুর ১২ ঘটিকা।
(খ) ই-অ্যাপ্লিকেশন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ও সময় ২৯ জানুয়ারি ২০২৩ রাত ১২টা। অ্যাপ্লিকেশন আইডিপ্রাপ্ত প্রার্থীরা আবেদনের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এসএমএসের মাধ্যমে ফি জমা দিতে পারবেন।
(গ) অনলাইনে আবেদন ও ফি দেওয়াসংক্রান্ত নিয়ম টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের http://ngi.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটে এবং এনটিআরসিএর www.ntrca.gov.bd ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে। আবেদন এবং ফি দেওয়ার নিয়মের বিষয়ে ভিডিও টিউটরিয়াল নমুনা (ডেমো) টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের http://ngi.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
♦ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের স্মারক-৩৭.০০.০০০০.০৭৩.৪৪.০১৭.১৯-২৯৮, ১৪/১১/২০২২ তারিখে জারীকৃত পরিপত্রের মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ৩০ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখের (স্মারক নং ৩৭,০০,০০০০, ০৭১,০৮.০০৮.০৫ (অংশ)-১০৮১ মূলে জারীকৃত শিক্ষক নিয়োগসংক্রান্ত পরিপত্রের ৭ নম্বর অনুচ্ছেদের কার্যকারিতা সাময়িকভাবে স্থগিত করায় কর্মরত শিক্ষকদের (এমপিওভুক্ত) আবেদন করার সুযোগ নেই। তবে স্কুল পর্যায়ে যদি কোনো নিবন্ধন সনদধারী (এমপিওভুক্ত) প্রাপ্ত প্রার্থীর কলেজ পর্যায়ের শিক্ষক নিবন্ধন সনদ থাকে এবং তিনি যদি কলেজ পর্যায়ে এমপিওভুক্ত না হন, তবে তার শিক্ষক নিবন্ধন সনদে উল্লিখিত কলেজ পর্যায়ের পদে ও প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবেন। বিপরীতক্রমে কলেজ পর্যায়ে নিবন্ধন সনদধারী এমপিওভুক্ত প্রার্থীর যদি স্কুল পর্যায়ের শিক্ষক নিবন্ধন সনদ থাকে এবং তিনি যদি স্কুল পর্যায়ে এমপিওভুক্ত না হন, তবে তার নিবন্ধন সনদে উল্লিখিত স্কুল পর্যায়ের পদে ও প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবেন।
♦ এমপিওভুক্ত প্রার্থীর একটি পর্যায়ের (স্কুল/কলেজ) একাধিক শিক্ষক নিবন্ধন সনদ থাকলে উক্ত প্রার্থী ওই পর্যায়ে আবেদন করতে পারবেন না। যেমন—জনাব ‘ক’ ১০ম এবং ১৫শ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিবন্ধন সনদ অর্জন করেন। তিনি যদি ১০ম শিক্ষক নিবন্ধন সনদের মাধ্যমে নিয়োগ লাভ করে এমপিওভুক্ত হন, তবে তিনি ১৫শ শিক্ষক নিবন্ধন সনদ ব্যবহার করে সহকারী শিক্ষক পদে আবেদন করতে পারবেন না।
♦ যদি কোনো প্রার্থী কোনো বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরিরত (এমপিওভুক্ত) হওয়া সত্ত্বেও তথ্য গোপন করে আবেদন করে নির্বাচিত হন, তবে তার নির্বাচন বাতিল করা হবে এবং তার বিদ্যমান এমপিও বাতিলের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।
♦ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১-এর ১২.২ অনুচ্ছেদ, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (মাদরাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ (২৩.১১.২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত)-এর ১২(খ) অনুচ্ছেদ এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮
(২৩.১১.২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত)-এর ২৩.৩ অনুচ্ছেদে কর্মরত (এমপিওভুক্ত) শিক্ষকদের প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন/বদলির জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক নীতিমালা প্রণয়নের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।♦ মহিলা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সহকারী শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা) পদের জন্য শুধু মহিলা প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। মহিলা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পুরুষ প্রার্থীদের আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না। প্রার্থী মিথ্যা তথ্য দিয়ে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানে আবেদন করে নির্বাচিত হলে তার নির্বাচন বাতিল করা হবে।
♦ সহকারী শিক্ষক (ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা) পদে চাকরিপ্রত্যাশী আবেদনকারীকে অবশ্যই সে ধর্মের অনুসারী হতে হবে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে আবেদন করলে নির্বাচন বাতিল করা হবে।
♦ ই-অ্যাপ্লিকেশন ফরম পূরণের ক্ষেত্রে আবেদনকারীর নামের বানানসহ অন্য তথ্যাদি নিবন্ধন সনদে বর্ণিত তথ্যের অনুরূপ হতে হবে। নামের বানান নিবন্ধন সনদের অনুরূপ না হলে বা ভুল বানান ব্যবহার করলে অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়ায় বিভ্রাট ঘটবে, এর দায় প্রার্থীকে নিতে হবে।
♦ যেসব পদের বিপরীতে ‘Female Quota’ প্রদর্শিত হবে, সেসব পদে শুধু মহিলা প্রার্থীরা আবেদন করবেন। অবশিষ্ট সব পদে পুরুষ-মহিলা উভয় প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন।
♦ নিয়োগ আবেদন (ই-অ্যাপ্লিকেশন) ফরমটি পূরণের ক্ষেত্রে যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। একবার আবেদনপত্র সাবমিট হয়ে গেলে তা কোনোভাবেই সংশোধনের সুযোগ থাকবে না।
♦ বিস্তারিত : www.ntrca.gov.bd ও http://ngi.teletalk.com.bd
টিএইচ