সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

বাবুল-ইলিয়াসের বিরুদ্ধে বনজের মামলার প্রতিবেদন পেছাল

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাবুল-ইলিয়াসের বিরুদ্ধে বনজের মামলার প্রতিবেদন পেছাল

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের করা মামলায় সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন ও পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তারসহ চারজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ২১ মার্চ পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত। 

মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ছিলো। তবে পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। এজন্য ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমামের আদালত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২১ মার্চ নতুন তারিখ ধার্য করেন।

এ মামলার বাকি দুই আসামি হলেন- বাবুল আক্তারের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবু (৪৫) ও বাবা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া (৭২) এর আগে ২৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় মামলাটি করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার। মামলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে অভিযোগ আনা হয় ।

বনজ কুমার এজাহারে উল্লেখ করেন, তার নেতৃত্বাধীন তদন্ত সংস্থা পিবিআই দেশের চাঞ্চল্যকর মিতু হত্যা মামলায় তদন্তে থাকাকালে প্রধান আসামি সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের নাম বেরিয়ে এলে তাকে গ্রেফতার করে।

কিন্তু মিতু হত্যা মামলার তদন্ত ভিন্নখাতে নিতে ও পুলিশ-পিবিআইয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে জেলে থাকা বাবুল আক্তার এবং অন্য আসামিরা দেশ-বিদেশে অবস্থান করে অপরাধমূলক বিভিন্ন অপকৌশল এবং ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নেন।

এরই ধারাবাহিকতায় ৩ সেপ্টেম্বর বাবুল আক্তার ও অন্য আসামিদের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ প্ররোচনায় সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন তার ইউটিউবে ‘স্ত্রী খুন, স্বামী জেলে, খুনি পেয়েছে তদন্তের দায়িত্ব শিরোনামে একটি ভিডিও আপলোড করেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, বিভিন্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্যের মাধ্যমে ইলিয়াস হোসাইন ভিডিওতে প্রচারিত বক্তব্যে দেশের ভাবমূর্তি এবং দেশের সামপ্রদায়িক সমপ্রীতি বিনষ্ট করার উসকানি, বাংলাদেশ পুলিশ এবং পিবিআই ও বিশেষ করে বাদীর (বনজ কুমার মজুমদার) মান-সম্মান ক্ষুণ্ন করার জন্য বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করেছেন। যা দেশের সাধারণ মানুষের মাঝে নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি করেছে।

এজাহারে ওই ভিডিওর বিভিন্ন অভিযোগ খন্ডন করে বলা হয়, ইলিয়াস তার বক্তব্যের মাধ্যমে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি এবং বাংলাদেশ-ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করা, রাষ্ট্রের হিন্দু-মুসলিম সমপ্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা-বিদ্বেষ, সামপ্রদায়িক সমপ্রীতি বিনষ্ট ও অস্থিরতা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপপ্রয়াস করেছেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, শুধু মিতু হত্যা মামলার তদন্ত ও বিচারকাজ প্রশ্নবিদ্ধ করতে দুই নম্বর আসামি মো. হাবিবুর রহমান লাবু, তিন নম্বর আসামি আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া ও চার নম্বর আসামি বাবুল আক্তারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্ররোচনায় এক নম্বর আসামি ইলিয়াস হোসাইন মিথ্যা-বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বক্তব্যের ভিডিও ফেসবুক- ইউটিউবে দেন।

টিএইচ