শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

রিমান্ড শেষে দিলীপ কুমার কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক

রিমান্ড শেষে দিলীপ কুমার কারাগারে

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বিএনপিকর্মী হৃদয় আহম্মেদকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ তিথির আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এদিন রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলা তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মো. সাদেক। অপরদিকে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশান থেকে তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-১। পরদিন ৪ সেপ্টেম্বর শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালত তার তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলিতে নিহত হন বিএনপিকর্মী হৃদয় আহম্মেদ। এ ঘটনায় গত ২২ আগস্ট মাদারীপর জেলার শিবচর উপজেলার বিএনপির জয়েন্ট সেক্রেটারি শাহাদাত হোসেন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১৬১ জনকে আসামি করা হয়।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী মৃত হৃদয় আহম্মেদ (১৬) একজন বাংলাদেশি নাগরিক। গত ১৯ জুলাই দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বাদী ও হাজার হাজার আন্দোলনকারীর সঙ্গে হৃদয় আহম্মেদ বাড্ডা থানাধীন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অংশগ্রহণ করে। আন্দোলন চলাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অন্যান্য আসামিদের নির্দেশে আওয়ামী লীগের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী এজাহারনামীয় অপরাপর আসামিসহ ৪০০ থেকে ৫০০ জন অজ্ঞাতনামা যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী বৈষম্য আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করার উদ্দেশ্যে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক সব আসামি তাদের হাতে থাকা অবৈধ অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকেন।

তাদের গুলিতে অনেক আন্দোলনকারী নিহত হন, অনেকে গুলিবিদ্ধ হয়ে রাস্তায় ছটফট করতে থাকেন। আসামিরা আন্দোলনবিরোধী স্লোগান দেন। তারা এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকায় বাদী শাহাদাত হোসেন আত্মরক্ষার্থে পাশের গলির এক ভবনে আশ্রয় নেন। ওই ভবনে থাকা অবস্থায় মুহুর্মুহু গুলির শব্দ ও লোকজনের চিৎকারের আওয়াজে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। কিছু সময় পর গুলির আওয়াজ বন্ধ হলে তিনি বাইরে এসে ভিকটিম মৃত হৃদয় আহম্মেদকে খুঁজতে থাকেন। দীর্ঘসময় খোঁজাখুঁজি করেও না পাওয়ার একপর্যায়ে লোকমুখে জানতে পারেন আসামিদের গুলিতে ও আক্রমণে বহু লোক হতাহত হয়েছেন। কিছু লোককে আফতাবনগর মেইন রোডে অবস্থিত নাগরিক স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে। শাহাদাত হোসেন ওইদিন বিকেল ৪টায় ওই হাসপাতালে গিয়ে হৃদয় আহম্মেদকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান।

টিএইচ