নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলমের জবানবন্দি শেষ হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্ৰীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৯ নম্বর (অস্থায়ী) বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে তিনি দ্বিতীয় দিনের মতো জবানবন্দি দেন। এরপর তাকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। আসামিপক্ষের জেরা শেষ না হওয়ায় পরবর্তী জেরা ও সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১৭ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।
সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর আগে খালেদা জিয়ার আইনজীবী সাক্ষ্যগ্রহণ মুলতবি চেয়ে আবেদন করেন। দুদক তার বিরোধীতা করে। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত মুলতবির আবেদন নামঞ্জুর করে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর আদেশ দেন।
তার আগে গত ২৩ মে বাদী মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম আদালতে সাক্ষ্য দেন। এর মধ্যে দিয়ে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। খালেদা জিয়ার আইনজীবী প্যানেলের সদস্য শেখ শাকিল আহমেদ রিপন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা করেন। এরপর ২০১৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এতে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ (প্রয়াত), সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন (প্রয়াত), সে সময়ের প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান (প্রয়াত) ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান এ এইচ এম সেলিম ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া-বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
এদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় মামলার দায় হতে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
টিএইচ