রাজধানীর শাহবাগ থানায় দায়ের করা দুটি মামলায় ছাত্র অধিকার পরিষদের ২৪ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তবে এই আদেশের আগে নিজের দলের কর্মীদের মুক্তি দাবি করে আদালতের সামনে অবস্থান নেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। কিছু সময় পরে তারা আবার মিছিল নিয়ে আদালত চত্বর থেকে চলে যান।
শনিবার (৮ অক্টোবর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিন মামলার আসামিদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মুহাম্মদ আরিফুল হক তপু তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামিদের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন।
শুনানি শেষে আদালত আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এছাড়া আগামী ১১ অক্টোবর তাদের জামিন শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।
কারাগারে যাওয়া অন্য আসামিরা হলেন- মো. সাদ্দাম হোসেন, মো. তসলিম হোসাইন অভি, আব্দুল কাদের, মো. তরিকুল ইসলাম, মামুনুর রশিদ, নাজমুল হাসান, রাকিব, আরিফুল ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, এইচএম রুবেল হোসেন, ইউসুফ হোসেন, মিজান উদ্দিন, বেলাল হোসেন, ওমর ফারুক জিহাদ, আবু কাউছার, জাহিদ আহসান, মোয়াজ্জেম হোসেন রনি, সানাউল্লাহ, শাহ ওয়ালিউল্লাহ, মো. রাকিব, সাজ্জাদ হোসেন পারভেজ।
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) বিকালে আবরার ফাহাদ স্মৃতি সংসদের সঙ্গে যৌথভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে স্মরণসভার আয়োজন করে ছাত্র অধিকার পরিষদ।
এসময় স্মরণসভাকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটে। পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের সামনে মারামারিও হয়। এই দুই ঘটনায় শাহবাগ থানায় দুটি মামলা দায়ের করে ছাত্রলীগের দুই কর্মী।
টিএইচ