গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জারি করা রুলের রায়ের দিন ফের পিছিয়েছে। আগামী রোববার ( ১৪ মে) ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (২ মে) বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের জন্য এদিন ধার্য করেন। জাহাঙ্গীরের আইনজীবী ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী। জাহাঙ্গীরের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এম কে রহমান, ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন এবং সিটি করপোরেশনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম।
মেয়র পদ থেকে পদত্যাগের পর রিটের কার্যকারিতা আছে কি না, এ বিষয়ে শুনানির জন্য উভয়পক্ষকে প্রস্তুতি নিয়ে আসতে বলেছেন আদালত। এর আগে, গত ১৫ মার্চ গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুলের শুনানি শুরু হয়।
২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের নিয়ে কটাক্ষ করার অভিযোগে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার হওয়া জাহাঙ্গীর আলমকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
ওই দিন নিজ দপ্তরে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ এসেছে। কোনো নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে যদি অভিযোগ আসে এবং সে অভিযোগ তদন্তের জন্য বা নিষ্পত্তির জন্য আমলে নেওয়া হয়, তাহলে আইন অনুযায়ী তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার নিয়ম আছে।
সে কারণে গাজীপুরের মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সেখানে একজনকে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৪ আগস্ট গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া জাহাঙ্গীর আলম পদ ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট করেন। রিটে তাকে সাময়িক বরখাস্তের আইনগত বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়।
টিএইচ