রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
সেই সাথে সর্বোচ্চ আদালত হাইকোর্টকে ফখরুল আব্বাসের জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন। এর ফলে তাদের মুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
এর মধ্যে চেম্বার আদালতে দেয়া আদেশ রিকল করে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বিভাগ রোববার (৮ জানুয়ারি) এই আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। আর বিএনপি নেতাদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল।
গত ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে একজন নিহত ও অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। সংঘর্ষের পর পুলিশ বিএনপির কার্যালয়ে অভিযান চালায়। সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন, মতিঝিল ও শাহজাহানপুর থানায় একটি করে আর রমনা থানায় দুটি মামলা করা হয়।
এরপর গত ৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে তাদের বাসা থেকে প্রথমে আটক করে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে পল্টন থানায় ৮ ডিসেম্বর করা মামলায় উস্কানিদাতা, পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতা হিসেবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ৯ ডিসেম্বর কারাগারে পাঠানো হয়।
পরবর্তীতে চার বার নিম্ন আদালতে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়। এরপর হাইকোর্টে জামিন আবেদন করলে গত মঙ্গলবার বিএনপির এই দুই নেতাকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ। সেই সাথে এদের কেন স্থায়ী জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে চার সপ্তাহের রুলও জারি করেন হাইকোর্ট।
তবে হাইকোর্টের দেয়া সে জামিন স্থগিত চেয়ে বুধবার রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করলে বিষয়টি আপিল বিভাগের পূর্নাঙ্গ বেঞ্চে রোববার শুনানির জন্য নির্ধারণ করেন চেম্বার আদালতের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম। সে পর্যন্ত বিএনপির দুই নেতার জামিন নামা (বেইল বন্ড) দাখিল না করতে নির্দেশ দেয়া হয়।
টিএইচ