শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post
অনিয়ম তদন্তের নির্দেশ

ভিকারুননিসার ১৬৯ শিশু শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলই থাকছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভিকারুননিসার ১৬৯ শিশু শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলই থাকছে

রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণির ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তিতে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে হাইকোর্টের রায়ে তাঁদের ভর্তি বাতিলই থাকছে।

মঙ্গলবার (২১ মে) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

শিশু শিক্ষার্থীদের বয়স জটিলতা ও ত্রুটিপূর্ণ ভর্তি নীতিমালার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তদন্তের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করে দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রথম শ্রেণির ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি বাতিলই থাকবে বলে আদেশে বলা হয়েছে।

এর আগে রোববার (১৯ মে) আলাদা রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের বেঞ্চ রায় ঘোষণার জন্য এ দিন নির্ধারণ করেছিলেন।

ভর্তি বাতিল হওয়া সব শিক্ষার্থী প্রথম শ্রেণির। গত ১৪ জানুয়ারি ভর্তি-ইচ্ছুক দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবক রিট করেন। তাদের অভিযোগ, নির্দিষ্ট বয়সের বাইরে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে স্কুলটিতে।

এরপর ২৩ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুল জারিসহ ভর্তি বাতিলের আদেশ দেন আদালত। পরে মাউশির নির্দেশনায় ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ।

পরে ভর্তি বাতিলের বৈধতা নিয়ে ১৩৬ জন অভিভাবক আরেকটি রিট করেন। এ নিয়ে গত ২৫ মার্চ হাইকোর্ট রুল জারি করেন। আলাদা রুলে একসঙ্গে শুনানি শেষে রায়ের জন্য এদিন ধার্য করে দেন হাইকোর্ট।

আদালতে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ রাফিউল ইসলাম শুনানি করেন। রিট আবেদনকারী দুজন অভিভাবকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শামীম সরদার। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।

রিট আবেদনকারী ১৩৬ জন অভিভাবকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মুস্তাফিজুর রহমান খান আর তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী খুররম শাহ মুরাদ।

এ নিয়ে আইনজীবী মোহাম্মদ রাফিউল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, প্রথম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি বিষয়ে এবং ১৬৯ ভর্তি বাতিলের বৈধতা নিয়ে অভিভাবকদের করা পৃথক রিটের ওপর একসঙ্গে শুনানি হয়।

রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২১ মে রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন। ভর্তি বাতিলই থাকলো ১৬৯ শিক্ষার্থীর।

টিএইচ