আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন না করার ঘটনায় আপিল বিভাগে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন আইজি প্রিজন্স ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এস এম আনিসুল হক ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের সচিব আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৬ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে হাজির হয়ে তারা লিখিতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
আপিল বিভাগ তাদের ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়ে পূর্ণাঙ্গভাবে আদেশ বাস্তবায়নের জন্য ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দিয়েছেন। ওদিন এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে সোমবার সকাল ৯টা ১৩ মিনিটে আইজি প্রিজন্স ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের সচিব আপিল বিভাগে প্রবেশ করেন।
গত ২০ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৬ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ তাদের সশরীরে হাজির হয়ে আদালত অবমাননার ব্যাখ্যা দিতে তলব করেন। সে সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, আপিল বিভাগের আদেশ পালন না করলে সেটি সহজভাবে দেখার সুযোগ নেই।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মো. ইব্রাহিম খলিল। এছাড়া বিবাদীদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম।
পরে ব্যারিস্টার ইব্রাহিম খলিল সাংবাদিকদের বলেন, গত বছরের ৭ এপ্রিল আপিল বিভাগ রিভিউ আবেদনের রায়ে ৬ জন কর্মকর্তাকে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দিয়ে সিনিয়র জেল সুপার পদে পদোন্নতি দেয়ার নির্দেশ দেন। এই ৬ জন হলেন- মো. গিয়াস উদ্দিন ভূঁইয়া, ইকবাল কবির চৌধুরী, মো. আনোয়ারুজ্জামান, মনির আহমেদ, মো. বজলুর রশিদ আকন্দ ও মো. নুরুননবী ভূঁইয়া।
তবে দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও আপিল বিভাগের রায় বাস্তবায়ন না করায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের সচিব আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী ও আইজি প্রিজন্স ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এস এম আনিসুল হকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করা হয়। এ আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৬ নভেম্বর পদোন্নতির রায় বাস্তবায়নের জন্য বিবাদীদের দুই সপ্তাহ সময় দেন আপিল বিভাগ।
ব্যারিস্টার ইব্রাহিম খলিল জানান, দুই সপ্তাহ পার হয়ে যাওয়ায় আজ এই বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। শুনানিতে বিবাদীদের পক্ষ থেকে আদালতকে জানানো হয়, আবেদনকারীদের পদোন্নতি দেওয়ার সুযোগ নেই। পরে শুনানি শেষে আপিল বিভাগ তাদের তলব করেন।
টিএইচ