বাঙালির রান্নাঘরের অন্যতম প্রয়োজনীয় উপাদান হলো হলুদ। এই মসলা ছাড়া আমাদের অনেক রান্নাই অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এটি যে কেবল স্বাদ, গন্ধ এবং রঙের জন্য ব্যবহার করা হয় তা নয়। বরং হলুদের রয়েছে অনেক উপকারিতা। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তো বাড়ায়ই, সেইসঙ্গে ত্বককেও রাখে সুন্দর।
যেকোনো ধরনের কাটা বা ক্ষত সারাতে হলুদের ব্যবহার বেশ পুরোনো। এতে থাকা ভিটামিন সি, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন এবং পটাসিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টির দুর্দান্ত উৎস। মুখের অবাঞ্ছিত চুল থেকেও মুক্তি দিতে পারে এই ভেষজ। আবার বাতের ব্যথায়ও সমান কার্যকরী। সেইসঙ্গে এটি আরও একটি কাজে লাগে। সেটি হলো, দাঁত ঝকঝকে করতে কাজ করে হলুদ।
অনেকের মনে করেন যে, হলুদের গুঁড়ো বা হলুদ দাঁতের রং হলদেটে করার জন্য দায়ী। আসলে কিন্তু তা নয়। বরং হলুদ দাঁত সাদা করতে খুবই কার্যকরী। বিশেষ করে হলুদের মূল।
এক গবেষণায় বলা হয়, হলুদে কারকিউমিন থাকায় এটি মাড়ির প্রদাহ বা মাড়ির অন্যান্য রোগ প্রতিরোধে কাজ করে। হলুদ ব্যবহার করলে তা মাউথওয়াশের তুলনায় সহজে হলুদ প্লাক, ব্যাকটেরিয়া এবং প্রদাহ দূর করে। অন্য এক গবেষণায় বলা হয়, দাঁতের ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে হলুদ। সেইসঙ্গে এটি পিরিয়ডোনটাইটিসের চিকিৎসায় ব্যবহার করা যেতে পারে।
হলুদ বেটে নিয়ে কিংবা হলুদ গুঁড়ার সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে পেস্টের মতো তৈরি করে নিন। এবার সেই পেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করে নিন। খুবই দ্রুত ঝকঝকে সাদা দাঁত পেয়ে যাবেন। হলুদের গুঁড়া দাঁত এবং মাড়িতে কমপক্ষে মিনিট পাঁচেকের জন্য রাখতে হবে। মুখ ধুয়ে ফেলার পর টুথপেস্ট ফের দাঁত ব্রাশ করে নিতে পারেন।
বাড়িতে হলুদের টুথপেস্ট তৈরি করে নিতে পারেন। সেজন্য সামান্য নারিকেল তেলের সঙ্গে প্রায় অল্প হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে নিতে হবে। এবার সেই পেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করুন। হলুদে আছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য। এটি দাঁতের হলদেভাব দূর করতে বিশেষ কার্যকরী।