বাজারে আরেক দফা বাড়ল আটার দাম। কয়েকটি বিপণনকারী কোম্পানি আটার দুই কেজির প্যাকেটের মূল্য নির্ধারণ করেছে ১৪৪ টাকা, যা আগের চেয়ে ১২ টাকা বাড়তি। অর্থাৎ, কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ৬ টাকা।
খোলা আটার দাম আগে থেকেই বাড়তি। মানভেদে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকার মধ্যে। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য বলছে, এক বছরে প্যাকেটজাত আটার দাম ৬৩ ও খোলা আটার দাম ৮১ শতাংশ বেড়েছে।
ঢাকার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে নতুন দামে আটা বিক্রি হচ্ছে। খোলা আটার দামও বাজার ভেদে আগের চেয়ে ৪ থেকে ৬টাকা বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে আটা কিনতে এসেছেন তেজগাঁও এলাকার গৃহিণী আনোয়ারা খাতুন। তার শাশুড়ি ডায়াবেটিসের রোগী। শাশুড়ির জন্যই দুবেলা রুটি বানাতে হয়। চরম ঊর্ধ্বমূল্যের বাজারে সংসারের খরচ কমাতে বাধ্য হয়ে খোলা আটা কিনছেন তিনি। দফায় দফায় আটার দাম বাড়ায় বিপাকে স্বল্প আয়ের মানুষ।
গৃহিণী আনোয়ারা বলেন, বাজারে এখন চাল, আটা, তেল, ডাল, চিনিসহ সব পণ্যের দামই চড়া। এরইমধ্যে হুহু করে বাড়ছে আটার দাম।
দেশে গত ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে আটার দাম লাফিয়ে বাড়ছে। বাংলাদেশের গমের বড় উৎস ছিল রাশিয়া ও ইউক্রেন। ভারত থেকেও আমদানি বাড়ছিল। যদিও ভারত রপ্তানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করে। বিশ্ববাজারে দামও বাড়তি।
দেশে গম আমদানিও কম হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ কারণে অক্টোবরের শেষ দিকে আটার মিলগুলো থেকে সরবরাহ কমে যায়। এখন সরবরাহ পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতির দিকে। তবে দাম বাড়ছে। গত অক্টোবর মাসেও প্রতি দুই কেজির আটার প্যাকেটের সর্বোচ্চ মূল্য ছিল ১২৬ টাকা। এখন সেটা সর্বোচ্চ ১৪৪ টাকা।
গমজাত পণ্যগুলোর দামও বাড়তির দিকে। এমনকি গোখাদ্য গমের ভুষির দামও বেড়েছে। কোম্পানি ভেদে বস্তায় ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বেড়েছে ভুষি।
রাজধানীর মহাখালী কাচাবাজারের ব্যবসায়ী নুর আলম বলেন, বাজারে খোলা আটার সংকট এখনো কাটেনি। এর মধ্যে প্যাকেটজাত আটার দাম বেড়ে গেছে। আমাদেরকে বাড়তি দরে কিনতে হচ্ছে। তাই বিক্রিও বেশিতে করতে হচ্ছে।
টিএইচ