শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

গণমাধ্যম দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে: শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

গণমাধ্যম দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে: শিক্ষামন্ত্রী

ইতিবাচক এবং বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার মাধ্যমে গণমাধ্যম দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। 

তিনি বলেন, যে কোন সংবাদ পরিবেশনের আগে অবশ্যই যথাযথভাবে যাচাই বাছাই করা উচিত। যাচাই বাছাই না করে সংবাদ পরিবেশন করলে অনেক ক্ষেত্রে ব্যক্তি এবং দেশের অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে। 

বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহে ‘বাংলাদেশের প্রানিসম্পদ খাত: সমস্যা এ সম্ভাবনা’ বিষয়ক এক গণমাধ্যম কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. এমদাদুল হক তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশিদ। 

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা এবং সৈয়দ বোরহান কবীর। এছাড়াও বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি) এর প্রধান কারিগরি কর্মকর্তা ড. গোলাম রব্বানীও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

দুইভাগে বিভক্ত অনুষ্ঠানের প্রথম ভাগে ছিল প্রশিক্ষণ কর্মশালা। এ কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন ড. গোলাম রব্বানী এবং সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় ভাগে ছিল সমাপনী পর্ব। সমাপনী পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডা. দীপু মনি। 

শিক্ষামন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণেই বাংলাদেশের গণমাধ্যম আজ উন্মুক্ত এবং শুধু গণমাধ্যম নয়, এখন মোবাইল ফোনের মাধ্যমেও যে কোন ব্যক্তি জবাবদিহিতার আওতায় এসেছে। কেউই এখন জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে নয়। 

তিনি বলেন, তথ্য অধিকার আইনের মাধ্যমে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রাণিসম্পদ খাতের কিংবা অন্যান্য খাতের যে উন্নয়নগুলো হয়েছে তা যদি গণমাধ্যমে উঠে আসে তাহলে অন্যরাও উপকৃত হবে। 

অনুষ্ঠানে ময়মনসিংহ বিভাগের ৪টি জেলার ৩০ জন গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তারা।