ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। আজ শুক্রবার দুপুর নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগ বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম শুরু করতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৬ নম্বরে বিপৎসংকেত জারি করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৈরী আবহাওয়ায় সারাদেশে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
সকালে বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা লঞ্চ চলাচল বন্ধ করার কথা জানান। তিনি বলেন, সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৭ ও ৬ নম্বর বিপৎসংকেত জারির পর আমরা সারাদেশে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছি। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে।
বাংলাদেশ আবাহওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ খুলনা ও বরিশালের মাঝখান দিয়ে উপকূল অতিক্রম করবে। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রটি পটুয়াখালীর খেপুপাড়ার কাছ দিয়ে যাবে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি বাস্তবায়ন বোর্ডের সভা শেষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়টি বরগুনা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট ও চট্টগ্রাম উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
টিএইচ