জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২ এর প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশের মোট জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। গত বছরের ১৫-২১ জুন দেশের প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা পরিচালনা করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।
এ বিষয়ে রোববার (৯ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিবিএস।
পিইসিতে (পোস্ট ইনিউমারেশন চেক) আরও ৪৬ লাখ ৭০ হাজার ২৯৫ জন যোগ হয়ে দেশের সমন্বয়কৃত মোট জনসংখ্যা হলো ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন। মোট জনসংখ্যার ৬৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ পল্লিতে এবং ৩১ দশমিক ৬৬ শতাংশ শহরে বাস করে।
শুমারি শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যে ২৭ জুলাই প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে দেশের গণনাকৃত মোট জনসংখ্যার হিসাব দেওয়া হয়।
পরিসংখ্যানিক পদ্ধতি ও আন্তর্জাতিক প্রটোকল অনুযায়ী শুমারি সম্পন্নের পর গণনাকালে সৃষ্ট কভারেজ ও কনটেন্ট ইরোর নিরূপণের জন্য বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) গত বছরের অক্টোবরে সম্পূর্ণ স্বাধীন ও স্বতন্ত্রভাবে শুমারি পরবর্তী যাচাই পিইসি জরিপ পরিচালনা করে।
অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এতে উপস্থিত ছিলন। আরও উপস্থিত ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্যব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন এবং বিআইডিএস মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন।
এছাড়াও ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্যব্যবস্থাপনা বিভাগ, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ও বিআইডিএসের ঊর্ধ্বতন কর্তকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (ডিজেএফবি) সাংবাদিকরা।
সংবাদ সম্মেলনে জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২ এর প্রকল্প পরিচালক মো. দিলদার হোসেন শুমারিতে গণনাকৃত ও পিইসির মাধ্যমে সমন্বয়কৃত মোট জনসংখ্যার তুলনামূলক চিত্র উপস্থাপন করেন।
টিএইচ