শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

বিভিন্ন স্থানে ভূমি ও গৃহহীনদের ঘর হস্তান্তরের উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিভিন্ন স্থানে ভূমি ও গৃহহীনদের ঘর হস্তান্তরের উদ্বোধন

মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য নির্মিত ৪র্থ পর্যায়ের ২য় ধাপে ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। বুধবার (৯ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই ঘোষণা দেন সরকার প্রধান। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর—

গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জে মুজিব বর্ষের উপহার চতুর্থ ধাপে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ভূমি ও গৃহহীন  ২৪৭ পরিবারের মাঝে জমিসহ ঘর প্রদান করা হয়েছে। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার হলরুমে এ ঘর প্রদান অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম, জেলা আ.লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহসিন উদ্দিন, প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. জুবায়ের হোসেন, সদর থানার ওসি মোহাম্মাদ আনিচুর রহমানসহ সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতারাসহ সুবিধাভোগীরা উপস্থিত ছিলেন। 

প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর সুবিধাভোগীদের হাতে ঘরের চাবি ও দলিল তুলে দেয়া হয়। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১৩০টি, মুকসুদপুর উপজেলায় ৪০টি, কোটালীপাড়া উপজেলায় ৪০টি এবং টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ৩৭টি ঘর রয়েছে। 

মৌলভীবাজার :  মৌলভীবাজার সদর উপজেলাকে গৃহ ও ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণা করেন। ৬ উপজেলায় আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের চতুর্থ ধাপের আওতায় উপহার হিসেবে ঘরের দলিল পেয়েছে মৌলভীবাজার জেলার ৬৪৩ টি পরিবার। বুধবার জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে এ উপলক্ষে প্রথম ধাপে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। 

জেলার সহকারী কমিশনার ( ভূমি) সাদিয়া সুলতানার সঞ্চলনায় ও জেলার জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন মৌলভীবাজার ৩ আসনের এমপি নেছার আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন, জেলা পুলিশ সুপার মো. মনজুরর রহমান। বক্তব্যে রাখেন, সদর ইউএনও মো. শরীফ উদ্দীন, জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি আজমল হোসেন, পকল্প কর্মকর্তা মো. আজাদুর রহমান প্রমুখ।

৬টি উপজেলার ৬৪৩টি পরিবারের মধ্যে মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় ১৬৫টি, কুলাউড়া উপজেলায় ৪৮টি, বড়লেখায় ৮০ টি এবং জুড়ী উপজেলায় ৭৫ টি, কমলগঞ্জ উপজেলায় ১১৩টি এবং শ্রীমঙ্গল উপজেলায় ১৬২টি পরিবারের মধ্যে চাবি হস্তান্তর করা রয়েছে। ৪র্থ পর্যায়ে ১৪৭ জনকে গৃহ প্রদান করা হয়। অবশিষ্ট ৯ জনকে স্থানীয় সহায়তায় গৃহ প্রদান করা হয়েছে। মৌলভীবাজার জেলার মোট ৪ হাজার ৬১১ জন গৃহ ও ভূমিহীনের মধ্যে ইতোমধ্যে, ১ম পর্যায়ে ১ হাজার ১২৬টি, ২য় পর্যায়ে ১ হাজার ১৫১টি গৃহ হস্তান্তর করা হয়েছে। ৩য় পর্যায়ে নির্মিত ৭৭৯টি গৃহের মধ্যে ৬৫৫টি গৃহ পূর্বে হস্তান্তর করা হয়েছে ও ৪র্থ পর্যায়ে ৬৪৩ টি ঘর প্রদান করা হলো।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভূমি ও গৃহহীন পুনর্বাসন কার্যক্রমের আওতায় ৮৩টি পরিবারকে জমি ও গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। ভূমি ও গৃহ হস্তান্তর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় এমপি র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জিয়াউল হক মীর, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান, সদর ইউএনও মো. সেলিম শেখ, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মোশারফ হোসাইন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জসিম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা প্রমুখ।

উদ্বোধন চতুর্থ পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপের ঘরসমূহের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের ৫৮টি ও নবীনগর উপজেলার ২৫টিসহ মোট ৮৩টি ঘর দেয়া হয়েছে। সদর উপজেলার ৫৮টি ঘরের মধ্যে ক শ্রেণির পরিবারের মধ্যে ২৫ পরিবারকে মজলিশপুর ইউনিয়নের আমিরপাড়ায় এবং ১২টি পরিবারকে মাছিহাতা ইউনিয়নের চিনাইর গ্রামে পুনর্বাসন করা হয়েছে। 

ঝালকাঠি : ঝালকাঠি জেলাকে ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ঝালকাঠি সদর উপজেলার সুগন্ধিয়া এলাকার ১৮৭টি পরিবারের মধ্যে ঘর প্রদান করা হয়। এ উপলক্ষে ঝালকাঠি সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক ফারাহ্ গুল নিঝুম, পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল, জেলা আ.লীগের সভাপতি সরদার মো. শাহ আলম, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান আরিফুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. এইচএম জহিরুল ইসলাম, সদর ইউএনও সাবেকুন নাহারসহ আরো অনেকে। ১৮৭টি পরিবারের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘরের দলিলসহ চাবি হস্তান্তর করেন ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক ফারাহ্ গুল নিঝুম। এ সময় সকল পরিবারকে ৫টি করে বিভিন্ন জাতের গাছের চারা বিতরণ করা হয়।

ময়মসনসিংহ : ময়মনসিংহ বিভাগে ৪র্থ পর্যায়ের ২য় ধাপে আরো ১০টি (ময়মনসিংহ সদর, ঈশ্বরগঞ্জ, হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া, গফরগাঁও, মুক্তাগাছা, শেরপুর সদর, শ্রীবরদী, সরিষাবাড়ী ও ইসলামপুর) উপজেলাকে ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেছেন। একইসাথে ময়মনসিংহ ও শেরপুর জেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত জেলা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ময়মনসিংহ বিভাগে সর্বশেষ হালনাগাদ তালিকা মতে মোট (ক-শ্রেণির) ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার সংখ্যা ১৩,০৯৬টি। ১ম পর্যায়ে ৪,০৩৪টি, ২য় পর্যায়ে ২৫৭২টি, ৩য় পর্যায়ে অন্যভাবে (আশ্রয়ণ, গুচ্ছগ্রাম ও মালিদের) ৪২৬টিসহ মোট  ১১,৫৯৭টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের ধারাবাহিকতা ৪র্থ পর্যায়ে এবার মমনসিংহ জেলাতেও ৭৯৫ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের নিকট জমিসহ গৃহ হস্তান্তর করা হবে। 

এ পর্যায়ে মমনসিংহ জেলার সদরের ১৭৬টি, মুক্তাগাছার ২৫২টি, গফরগাঁওয়ের ৮৮টি, ঈশ্বরগঞ্জের ৬৩টি, হালুওয়াঘাটের ১৭৮টি এবং ধোবাউড়ার ৩৮টি পরিবারের পুনর্বাসন করার মাধ্যমে এ ৬টি উপজেলা ভূমিহীন গৃহহীনমুক্ত হয়।  

গাইবান্ধা : গাইবান্ধা সদর উপজেলার ভুমিহীন ও গৃহহীন ১৪৫টি পরিবারের মধ্যে কাগজসহ জমি ও গৃহ হস্তান্তর করা হয়। একই সাথে গাইবান্ধার ৫টি উপজেলায় মোট ৯৮০জন ভূমি ও গৃহহীন মানুষকে জমি ও গৃহ হস্তান্তর এবং গোবিন্দগঞ্জ ও সাদুল্যাপুর উপজেলার ৭৮টি ঘর জরাজীর্ণ ব্যারাক প্রতিস্থাপন করে একক গৃহ নির্মাণের মাধ্যমে তা হস্তান্তর করা হয়। 

গাইবান্ধা সদর উপজেলা পরিষদের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে উপকারভোগীদের মধ্যে জমি ও গৃহ হস্তান্তর অনুষ্ঠিত হয়। গাইবান্ধা সদর ইউএনও শরিফুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) মো. শরীফুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রেজাউল হক, সদর উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মৃদুল মোস্তাফিজ ঝন্টু, সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাকিরুল ইসলামসহ উপকারভোগীরা।

পাবনা : জেলার পাঁচটি উপজেলায় ৬৪৬টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। এর মাধ্যমে পাবনা জেলাকে ‘ক’ শ্রেণির ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। পাবনার বেড়া চাকলা ইউনিয়ন আশ্রয়ণ প্রকল্পে সরাসরি যুক্ত হন উপকার ভোগীরা।
পাবনার পাঁচটি উপজেলার মধ্যে চাটমোহরে ৭৮টি, ভাঙ্গুড়ায় ৪১টি, ফরিদপুরে ১১৩টি, সুজানগরে ৫৩টি, বেড়ায় ৩৬১টি ঘর হস্তান্তর করা হয়। 

জেলা প্রশাসক সূত্রে জানা গেছে, এর আগে ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ পর্যায়ের প্রথমধাপে ৩ হাজার ৯টি ঘর ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে প্রদান করা হয়েছে। ৪র্থ পর্যায়ে জেলায় ১ হাজার ৫১৮টি ঘর বরাদ্দ পাওয়া গেছে। তার মধ্যে ১ম ধাপে গত ২২ মার্চ  ৮৭২টি ঘর প্রদান করা হয়েছে। আর ২য় ধাপে প্রদান করা হলো ৬৪৬টি ঘর।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি স্পিকার অ্যাড. শামসুল হক টুকু এমপি, পাবনা-২ আসনের এমপি আহমেদ ফিরোজ কবির, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, রাজশাহী রেঞ্চের ডিআইজি আনিসুর রহমান, পাবনা জেলা প্রশাসক মু. আসাদুজ্জামান, পাবনা পুলিশ সুপার মুন্সি আকবর আলীসহ আরো অনেকে।

দিনাজপুর : দিনাজপুর জেলায় চতুর্থ ধাপে দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪৯৪টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে জমিসহ ঘর প্রদান করা হয়েছে। ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে দিনাজপুর সদর-৩ আসনের এমপি ও জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ আ.লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। জানা গেছে, দিনাজপুর জেলার ১৩টি উপজেলার মধ্যে ৪টি উপজেলা (নবাবগঞ্জ, খানসামা, কাহারোল ও বিরল) ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়।

 দিনাজপুর সদর উপজেলায় ১৫১টি, বোচাগঞ্জে ৭৫টি, বীরগঞ্জে ১৩৬টি, চিরিরবন্দরে ২৫টি, পার্বতীপুরে ৬০টি, বিরামপুরে ১৭টি ও হাকিমপুর উপজেলায় ৩০টি ঘর রয়েছে।

বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) : বেলকুচি উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপকারভোগী ২২ পরিবারের হাতে খাদ্যসামগ্রী ও নতুন ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের এমপি আব্দুল মমিন মণ্ডল। 

এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোবারক হোসেন, ইউএনও আফিয়া সুলতানা কেয়া, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রত্না বেগম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শিবানী সরকার, থানার ওসি খায়রুল বাশারসহ উপকারভোগী পরিবার উপস্থিত ছিলেন।

মুকসুদপুর (গোপালগঞ্জ): মুকসুদপুর উপজেলার দিগনগর ইউনিয়নের ফতেপট্রি ৩নং ওয়ার্ডে ৪০ সুবিধাভোগীর মধ্যে জমিসহ ঘর হস্তান্তর করা হয়। এনিয়ে মুকসুদপুর উপজেলায় ৫৯৩টি ঘর সুবিধাভোগীদের নিকট হস্তান্তর করার মাধ্যমে মুকসুদপুরকে ভূমিহীন ও গৃহহীন ঘোষণা করা হয়। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক শেখ জোবায়ের আহম্মেদ, মুকসুদপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাবির মিয়া, ইউএনও এসএম ইমাম রাজী টুলু, পৌরমেয়র আশরাফুল আলম শিমুল, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত কুমার সাহাসহ সুবিধাভোগীরা।  

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) : ভূঞাপুরে ৪২টি ভূমি-গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এসময় ইউএনও (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার ভূমি ফাহিমা বিনতে আখতারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) আব্দুর রহিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন- উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোছা. নার্গিস বেগম, ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনিরুল ইসলাম বাবু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আলিফ নুর মিনি প্রমুুখ।

মহেশপুর (ঝিনাইদহ) : ইউএনও নয়ন কুমার রাজবংশীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ময়জদ্দীন হামীদ, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, মহেশপুর উপজেলা আ.লীগের সভাপতি মো. সাজ্জাদুল ইসলাম সাজ্জাদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাসিনা খাতুন হেনা। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শরিফ শাওন প্রমুখ। এসময় উপজেলার ৬৬টি গৃহহীন পরিবারের মধ্যে ঘর ও জমি হস্তান্তর করা হয়।

ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) : গৃহ ও ভূমিহীনমুক্ত হলো দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা। এসব উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারাসহ সুধিজন উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা প্রশাসনের তথ্য বলছে, ঘোড়াঘাট উপজেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধিনে সরকারি ঘর পেয়েছে ১ হাজার ৮৮৭ জন। তারমধ্যে ১ হাজার ৮৮৬টি সরকারি সরকারি বরাদ্দে এবং বাকি একটি ঘর উপজেলা প্রশাসনের অর্থায়নে বিতরণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে চারটি ফেজে এই উপজেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। তারমধ্যে প্রথম ফেজে ৫৬৭ জন এবং দ্বিতীয় ফেজে ৫২০ ব্যাক্তি সরকারি ঘর পেয়েছে। এছাড়াও তৃতীয় ফেজে ৫০০ এবং সর্বশেষ চতুর্থ ফেজে সরকারি ঘর পেয়েছে ৩০০ গৃহ ও ভূমিহীন পরিবার।

চৌহালী (সিরাজগঞ্জ) : চৌহালীতে ১০টি ঘর উপহার পেলেন ভূমি ও গৃহহীন পরিবার। উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপকারভোগীদের হাতে খাদ্যসামগ্রী ও নতুন ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন এডিসি গনপতি রায় ও উপজেলা  চেয়ারম্যান  ফারুক হোসেন । এ সময়   ইউএনও  মাহবুব হাসান , সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান মোল্যা বাবুল আক্তার, থানার ওসি হারুন অর রশীদসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) : কালিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রহিমা সুলতানা বুশরার সভাপতিত্বে ও উপজেলার চৌকস সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আজাহার আলীর সঞ্চালনায় উপজেলার মধ্যে ১০১টি পরিবারের মধ্যে নতুন ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বিষ্টুপদ পাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের সিনি. সহ-সভাপতি সাঈদ মেহেদী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শেখ নাজমুল আহসান, ভাইস চেয়ারম্যান দিপালী রানী ঘোষ প্রমুখ।

কালীগঞ্জ (লালমনিরহাট) : আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের চতুর্থ পর্যায়ের কালীগঞ্জে ঘর পেলো ১৫৭ পরিবার। এনিয়ে এ উপজেলায় মোট ৯৫০ পরিবার প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারের ঘর পেল। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা অডিটোরিয়ামে ইউএনও জহির ইমামের সভাপতিত্বে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফেরদৌস আহমেদের সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল বক্তব্য রাখেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, এসময় উপস্থিত ছিলেন, কালীগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত হাবিবুর রহমানসহ, সুবিধাভোগীরা।

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) : হাটহাজারীকে শতভাগ ভূমি ও গৃহহীন পুনর্বাসিত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পরিষদ প্রাঙ্গণে ইউএনও মোহাম্মদ শাহিদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। এসময় প্রধান অতিথি চতুর্থ ধাপ ও বরাদ্দের সর্বশেষ ১৯ টি ঘরের দলিল ও চাবি ভূমি ও গৃহহীন উপকারভোগীদের হাতে হস্তান্তর করেন। শিক্ষক শিমুল মহাজনের সঞ্চালনায় এসময় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল আলম বাসেক, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু রায়হান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিয়াজ মোর্শেদসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) : ধর্মপাশা উপজেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্প ২ এর ২০ টি ঘর, গৃহ ও ভূমিহীনদের জায়গার দলিল চাবি হস্তান্তর করেন, ধর্মপাশা ইউএনও  শীতেষ চন্দ্র সরকার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ধর্মপাশা ইউএনও শীতেষ চন্দ্র সরকার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. অলিদুজ্জামান, ধর্মপাশা থানা ওসি মো. মিজানুর রহমান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল মোতালিব সরকার প্রমুখ।

বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) : বীরগঞ্জে নতুন করে ১৩৬টি পরিবারকে নিজস্ব ঠিকানা প্রদান করে উপজেলাকে ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়। বীরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ হলরুমে বীরগঞ্জে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় চতুর্থ পর্যায়ে ১৩৬টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের মধ্যে গৃহ ও জমি হস্তান্তর করেন প্রধান অতিথি দিনাজপুর-১ আসনের এমপি মনোরঞ্জন শীল গোপাল। 

অনুষ্ঠানে ইউএনও জিনাত রেহানার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আমিনুল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বীরগঞ্জ সার্কেল) খোদাদাদ সুমন, জেলা আ. লীগের সদস্য মো. নুর ইসলাম নুর, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা আক্তার বৃষ্টি।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বীরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সানাউল্লাহ, উপজেলা প্রকৌশলী মো. জিবরীল আহম্মদ প্রমুখ।

রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) : রাজারহাট উপজেলায় ৩০৪টি ঘরের চাবি ও দলিল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মো. হাবিবুর রহমান। রাজারহাট উপজেলা ভূমি সহকারী কমিশনার এবিএম আরিফুল হকের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম, রাজারহাট ইউএনও নূরে তাসনিম, রাজারহাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী বাপ্পি প্রমুখ।

এসময়ে উপস্থিত ছিলেন এডিসি রাজস্ব উত্তম কুমার রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল একেএম ওহিদুন্নবী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আশিকুর ইসলাম মন্ডল সাবু, রাজারহাট থানা ওসি মো. আবদুল্লা হিল জামানসহ অনেকে। 

রামপাল (বাগেরহাট) : রামপালে ১০০ পরিবারের মধ্যে জমির দলিল ও ঘরসহ চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে। বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার উপস্থিত থেকে এসব পরিবারের মধ্যে জমির দলিল, আধাপাকা ঘর ও চাবি হস্তান্তর করেন। রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিবুল আলমের সভাপতিত্বে উপজেলা অডিটোরিয়ামে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন, উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, রামপাল উপজেলা চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন। ওই সময় স্বাগত বক্তব্য দেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ সালাউদ্দীন দিপু। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আরিফুল ইসলাম, সহকারী পু্লিশ সুপার (মোংলা সার্কেল) মুশফিকুর রহমান তুষার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নূরুল হক লিপন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হোসনেয়ারা মিলি, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা সুকান্ত কুমার পাল, রামপাল থানার ওসি এস, এম আশরাফুল আলম প্রমুখ।

ইসলামপুর (জামালপুর) : জামালপুরের ইসলামপুরে ভূমি ও গৃহহীন ৪৯ পরিবারের মধ্যে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. এসএম জামাল আব্দুন নাসের বাবুল। এসময় উপস্থিত ছিলেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোজিনা আক্তার চায়না, উপজেলা আ'লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ জামাল আবু নাসের চৌধুরী চার্লেস প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার ভূমি আশরাফ আলী।

বোয়ালমারী (ফরিদপুর) : বোয়ালমারী উপজেলার ৪১৪ টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসনের মধ্য দিয়ে উপজেলাটি ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় বোয়ালমারী উপজেলায় ১ম, ২য় ও ৩য় পর্যায়ে মোট ৩৪৪টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে দুই শতাংশ জমির দলিলসহ পাকা ঘর দেয়া হয়েছে। এ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বক্তব্য রাখেন ফরিদপুর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. ইয়াছিন কবির, বোয়ালমারী উপজেলা চেয়ারম্যান এম এম মোশাররফ হোসেন মুশা মিয়া, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোশারেফ হোসাইন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দিলারা আক্তার, ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ রাসেল রেজাসহ আরও অনেকে।

মধ্যনগর (সুনামগঞ্জ) : মধ্যনগর উপজেলায় ১৪৯টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন। উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্ব থাকা সহকারী ভূমি কমিশনার অলিদুজ্জামানের সভাপতিত্ব ও শিক্ষক স্বপন কুমার কানুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় বক্তব্য রাখেন মধ্যনগর উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল মোতালিব, মধ্যনগর থানার ওসি মো. জাহিদুল হক, সদর ইউপি চেয়ারম্যান সঞ্জীব রনজন তালুকদার টিটু প্রমুখ।

নাগরপুর (টাঙ্গাইল) : নাগরপুর উপজেলাকে শতভাগ গৃহহীনমুক্ত উপজেলা ঘোষণা করা হয়। নাগরপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মিলনায়তন ভবনে টাঙ্গাইল ৬ আসনের এমপি আহসানুল ইসলাম টিটুর উপস্থিতিতে ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠান সরাসরি প্রদর্শিত হয়। এতে উপজেলার ৩ ইউনিয়নে মোট ৩৮ টি ঘর হস্তান্তর করা হয় এবং গৃহহীনমুক্ত উপজেলা ঘোষণা করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, টাঙ্গাইল অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) নাফিসা আক্তার, নাগরপুর ইউএনও ওয়াহিদুজ্জামান, কৃষি কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন, প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু বক্কর প্রমুখ।

শ্রীপুর (মাগুরা) : ইউএনও কমলেশ মজুমদারের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) শ্যামানন্দ কুণ্ড, থানার ওসি কাঞ্চন কুমার রায়, উপজেলা আ.লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মশিয়ার রহমানসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে উপকারভোগী পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সিরাজদীখান (মুন্সীগঞ্জ) : সিরাজদীখানে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ৩৪টি ঘর উপকারভোগীদের মধ্যে হস্তান্তর করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপকারভোগীদের মধ্যে এ ঘর বুঝিয়ে দেন ইউএনও মো. শরীফুল আলম তানভীর।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উম্মে হাবিবা ফারজানা, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মঈনুল হাসান নাহিদ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবু সাঈদ শুভ্র, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শবনম সুলতানা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আইমিন সুলতানা, উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো. রেজাউল ইসলাম, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ডলি রানী নাগ, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা গুল রওশন ফেরদৌসসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী, বিভিন্ন ইউপির চেয়ারম্যান, সাংবাদিক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

ইউএনও মো. শরীফুল আলম তানভীর বলেন, এ উপজেলায় ইতোমধ্যে ১ম পর্যায়ে ২৫টি, ২য় পর্যায়ে ৭৫টি, ৩য় পর্যায়ে ১৫টি ও ৪র্থ পর্যায়ে ৪৬টি সহ মোট ১৬১টি ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বর্তমানে ৪র্থ পর্যায়ে ৪৬টি ঘরের মধ্যে ১২টি ঘর প্রথম ধাপে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি): চতুর্থ পর্যায়ের ২য় ধাপে মানিকছড়িতে গৃহ ও ভূমিহীন অস্বচ্ছল আরও ১৪০ পরিবারকে ঘরে চাবি ও দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে। উপজেলা মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত গৃহের চাবি ও দলিল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. তহিদ উজ জামান। ইউএনও রক্তিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য এম.এ জব্বার, কৃষি অফিসার মো. কামরুল হাসান, ইউপি চেয়ারম্যান মো. শফিকুর রহমান ফারুক। এ সময় মানিকছড়ি থানার ওসি আনচারু করিম, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শ্রুতি পূর্ণ চাকমা, পরিসংখ্যান কর্মকর্তা রাকেশ বিশ্বাসসহ সকল প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সকল ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সসদ্য ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। পরে উপজেলার আরও ১৪০ পরিবারের মধ্যে ঘরের চাবি ও দলিল হস্তান্তর করেন অতিথিরা। 

করিমগঞ্জ (কিশোরগঞ্জ) : করিমগঞ্জ উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়। এ উপলক্ষে এদিন করিমগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পরিষদ হলরুমে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জমিসহ গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রম শেষে উপজেলায় চতুর্থ পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে জমিসহ গৃহপ্রাপ্ত ১২টি পরিবারকে জমিসহ গৃহের দলিল তুলে দেন উপজেলা প্রশাসক পলাশ কুমার বসু।

ইউএনও পলাশ কুমার বসুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ফারজানা খানম, বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাসিরুল ইসলাম খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইকবাল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হান্নান মোল্লা, করিমগঞ্জ থানা ওসি (তদন্ত) খন্দকার হাফিজুর রহমান প্রমুখ।

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) : সরিষাবাড়ীকে ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ইউএনও শারমিন আক্তারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন-সাবেক তথ্য ও সমপ্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এমপি, ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়া, জামালপুর জেলা প্রশাসক ইমরান আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাইফুল ইসলাম প্রমুখ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন, সরিষাবাড়ী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহা. সাদ্দাম হোসেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন পাঠান, উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ছানোয়ার হোসেন বাদশা, পৌর মেয়র মনির উদ্দিন, জেলা পরিষদের সদস্য খোরশেদ আলম ভিপি ও পৌর কাউন্সিলর সাখাওয়াত আলম মুকুলসহ তৃণমুল আ.লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 

কাউখালী (পিরোজপুর) : কাউখালীতে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেলো আরও ১২৫ পরিবার। কাউখালী উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ভূমি-গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. সেলিম হোসেন।ইউএনও মেহের নিগার সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. বায়েজিদুর রহমান প্রমুখ। 

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) : মির্জাপুর উপজেলাকে শতভাগ ভূমি ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উপজেলা পরিষদের হলরুমে উপজেলার ৬৪জন উপকারভোগীদের মধ্যে ঘরের দলিল তুলে দেন, টাঙ্গাইল-৭ আসনের এমপি খান আহমেদ শুভ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম, টাঙ্গাইল স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক শামীম আরা রিনি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাকিলা বিনতে মতিন, সহকারি কমিশনার (ভূমি) সুচি রানী সাহাসহ উপজেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।

ডুমুরিয়া (খুলনা) : আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ১২০টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে ৪র্থ পর্যায়ের (২য় ধাপ) জমিসহ গৃহ প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউএনও শরীফ আসিফ রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম আশিষ মোমতাজ, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আশরাফ হোসেন, কৃষি কর্মকর্তা মো. ইনসাদ ইবনে আমীন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের (আবাসিক) মেডিকেল অফিসার মো. সাব্বির গোলদার, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রিনা মজুমদার, সমাজসেবা কর্মকর্তা সুব্রত বিশ্বাস, ইন্সটেকটর মো. মনির হোসেন প্রমুখ।

রূপগঞ্জ (নারায়নগঞ্জ) : রূপগঞ্জ উপজেলাকে ভূমি-গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পে রূপগঞ্জ উপজেলার মুড়াপাড়া দড়িকান্দি- ২০টি, মুড়াপাড়া নগর- ৬টি, কাঞ্চন পৌরসভার বিরাবে খালপাড়-২৭৫টি, গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের আধুরিয়া-৪৫টি, দাউদপুর ইউনিয়নের খৈসাইর-৮টি ও হাটাবো- ২৯টি, ভোলাবো ইউনিয়নের নয়াবাজার-৬টি, তারাবো পৌরসভার মাশাবো-১৫টি ও রূপগঞ্জ ইউনিয়নে মুশুরীতে-১১টিসহ ৪১৫টি পরিবারের মধ্যে জমিসহ ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। 

রূপগঞ্জ ইউএনও ফয়সাল হক, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আরিফুল হাসান, রূপগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি কামরুল হাসান মারুফসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।   

সদরপুর (ফরিদপুর) : সদরপুর  উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ৪র্থ পর্যায়ে উপজেলার ১৭০টি সুবিধাভোগী পরিবারকে ২ শতাংশ জমির দলিল ও গৃহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সদরপুর ইউএনও মো. আহসান মাহমুদ রাসেল, উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী শফিকুর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানিয়া আকতার, সদরপুর থানা ওসি মো. মামুন আল রশিদ, ভাইস চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান শিকদার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জিনিয়া নাজনীন কল্পনা, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, সাংবাদিকসহ স্থানীয় সুশীল সমাজ।

নোয়াখালী : নোয়াখালীতে ভূমি ও গৃহহীনদের মধ্যে চতুর্থ পর্যায়ে আরও ৪১৮টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। এর মাধ্যমে নোয়াখালী সদর, বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ী, চাটখিল ও সেনবাগ  উপজলাকে গৃহ ও ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণা করেছেন। বেগমগঞ্জ উপজেলার আমানউল্যাহপুর ইউনিয়নের কাচিহাটা গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। 

জানা গেছে, জেলায় মোট ভূমিহীন পরিবার রয়েছে ৬ হাজার ২৭৮ জন। যার মধ্যে চারটি পর্যায়ে তিন হাজার ৫৭২টি পরিবারকে গৃহ নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। চতুর্থ পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে জেলার সদর, বেগমগঞ্জ, চাটখিল ও সেনবাগ উপজেলায় আরও ৪১৮টি পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর বুঝিয়ে দেয়া হলো। যার মধ্যে ১০৩টি গৃহ ও ৩১৫টি ব্যারাক রয়েছে। 

এ সময় নোয়াখালী-৩ আসনের এমপি মো. মামুনুর রশীদ কিরণ, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী, জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল ওদুদ পিন্টু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  ]

নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) : চতুর্থ পর্যায়ে নাইক্ষ্যংছড়ির ৩৫টি সেমি পাকা ২৫ টি মাচাং ঘর অর্থাৎ নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ৬০টি ভূমিহীন-গৃহহীনকে ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন নাইক্ষ্যংছড়ি ইউএনও রোমেন শর্মা। উপজেলা সদরের হাজি এম এ কালাম  সরকারি কলেজ হলরুমে তিনি সভাপতি হিসেবে এ চাবি হস্তান্তর করেন।  অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন  উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ত্রিরতন চাকমা।  

সভায় উপস্থিত ছিলেন, নাইক্ষ্যংছড়ি হাজি এম এ কালাম সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ও, আ, ম রফিকুল ইসলাম, জেলা পরিষদ সদস্য  ও  উপজেলা আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক ক্যানে ওয়ান চাক, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মংহ্লা ওয়াই মার্মা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শামশুদ্দিন মো. রেজা, কৃষি কর্মকর্তা মো. এনামুল হক প্রমুখ।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যান, জমি ও গৃহপ্রাপ্ত নর-নারীর এবং স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা।

টিএইচ