শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রকাশ করতে ফের নতুন সময় জানালেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা নিয়ে একটা জাতীয় কমিটি আছে। তারা এ বিষয়ে কাজ করছে। এ পর্যন্ত দেড় হাজার বুদ্ধিজীবীর তালিকা আমরা করেছি। এছাড়া নতুনভাবে আরও ১০০ আবেদন জমা পড়েছে। আশা করছি ২৬শে মার্চের আগে বুদ্ধিজীবীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হবে।
এর আগে গত ২৫ মার্চ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, এ বছরের ১৪ ডিসেম্বরের (আজকের) মধ্যে চূড়ান্ত তালিকা প্রণয়নের কাজ শেষ হবে।
আজ বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) রায়েরবাজার শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে খুব কম পরিবার আছে যারা মুক্তিযুদ্ধে তাদের পরিবারের কাউকে হারায়নি। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যখন বুঝতে পারছিল যে দেশ স্বাধীন হয়ে যাবে, তখন তারা নির্মমভাবে এদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে। আমাদের দেশে একজন প্রধানমন্ত্রী আছেন, যিনি বলেন যে এতো লোক মারা যায়নি, যুদ্ধে এতো হত্যাকাণ্ড হয়নি। প্রকৃত শহীদদের সংখ্যা বিতর্কিত করার জন্য তারা এসব বলছেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, সে দলের এক নেতা বলেছেন দেশ নাকি পাকিস্তান আমলে ভালো ছিল। অথচ তাদের পাকিস্তান আজ ব্যর্থ, অকার্যকর রাষ্ট্র। ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানিরাও আত্মসমর্পন করেছিল, কিন্তু তাদের দোসর আলবদর, রাজাকার তারা আত্মসমর্পণ করেনি। তারা এদেশে ঘাপটি মেরে আছে। জামায়াত ইসলাম রাজনৈতিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে। তাদের রাজনীতি করার অধিকার স্বাধীন দেশে থাকতে পারে না। এটি জাতীয় দাবি এবং আমি এই দাবির সঙ্গে একমত।
এ সময় আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। আর সকাল থেকেই হাজারো মানুষের শ্রদ্ধায় সিক্ত হচ্ছে রায়ের বাজার বুদ্ধিজীবী বধ্যভূমি।
ইএফ