১২ ডিসেম্বর সোমবার মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ১৪২তম জন্মবার্ষিকী। ১৮৮০ সালের এই দিনে সিরাজগঞ্জের ধানগড়াপল্লীতে তার জন্ম হয়। বাংলাদেশের মানুষের কাছে তিনি ‘মজলুম জননেতা’ হিসেবে পরিচিত।
শৈশবে তার ডাক নাম ছিল ‘চেগা মিয়া।’ তার বাবা হাজি শারাফত আলী এবং মা ছিলেন বেগম শারাফত আলী। পরিবারের চার সন্তানের মধ্যে সবার ছোট ছিলেন তিনি। পরে ব্রিটিশ ভারতের অন্যতম তৃণমূল রাজনীতিবিদ ও গণআন্দোলনের নায়ক হন। তার অনুসারীরা তাকে ‘রেড মওলানা’ নামেও ডাকতেন।
মওলানা ভাসানী ১৯২৯ সালে আসামের ধুবড়ী জেলার ব্রহ্মপুত্র নদের ভাসান চরে প্রথম কৃষক সম্মেলন করেন। সেখান থেকে তার নাম রাখা হয় ‘ভাসানীর মাওলানা’। এরপর থেকেই তার নামের শেষে ভাসানী শব্দ যুক্ত হয়।
১৯৪৭ সালে সৃষ্ট পাকিস্তান ও ১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট গঠনকারী প্রধান নেতাদের মধ্যে তিনি অন্যতম।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে অন্যতমও তিনি। ১৯৫৭ সালের কাগমারী সম্মেলনে তিনি পাকিস্তানের পশ্চিমা শাসকদের ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলে সর্বপ্রথম পূর্ব পাকিস্তানের বিচ্ছিন্নতার ঐতিহাসিক ঘণ্টা বাজিয়েছিলেন। সমাজ সংস্কারমূলক কর্মকাণ্ডেও জড়িত ছিলেন। জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে মহিপুর হক্কুল এবাদ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন, যার অধীনে একটি মেডিকেল, টেকনিক্যাল স্কুল ও হাজি মুহসিন কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যু হয়। ভাষা আন্দোলনে বিশেষ অবদানের জন্য ২০০২ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক তাকে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করা হয়।
টিএইচ