পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় সামপ্রতিক বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে ও প্লাবনে ১৫০ কিলোমিটার পাকা ও মাটির সড়ক ধসে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তায় এখন নতুন করে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। এ দুর্যোগে অন্তত ২৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে।
উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের অনেক জায়গায় বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হওয়ায় পানির তোড়ে গ্রামীণ সড়ক ধসে যাবার পাশাপাশি ঝড়ে সড়কের দুই পাশের গাছ উপড়ে সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এছাড়া আরও ৬টি ইউনিয়নে প্রত্যন্ত এলাকার রাস্তার ক্ষতি হওয়ায় যানবাহন ও মানুষের চলাচলে চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হচ্ছে।
বলেশ্বর নদীর মধ্যবর্তী মাঝের চরে জলোচ্ছ্বাসে ১০ ফুট পানি বৃদ্ধি হওয়ায় জেলে পল্লীতে বসবাসরত ১১৭ পরিবার স্থানীয় ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে টানা তিনদিন আশ্রয় নিয়েছিলেন। তবে মাঝেরচরের দেড় কিলোমিটার পাকা সড়ক ও দুই কিলোমিটার বেড়িবাঁধ সম্পূর্ণ ধসে যায়। প্রতিদিন জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় জেলে পল্লীর সহস্রাধিক মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্রের প্রায় জনগুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু রাস্তার পিচ পাথর উঠে গিয়ে বড় বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এসব সড়কে যানবাহন চলাচল দূরে থাক মানুষের পায়ে চলাই কষ্টকর। পৌরসভার বিধ্বস্ত সড়ক এখন মেরামত করা জরুরি।
উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়ারুল ইসলাম ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ক্যাটাগরি অনুযায়ী তালিকা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে। বরাদ্দ এবং সংস্কার কাজের অনুমতি পেলে ধসে যাওয়া সড়কগুলো সংস্কার করা হবে।
টিএইচ