ডলারের দাম বাড়ার কারণে রমজানে আমদানি করা ভোগ্যপণ্যের দাম গতবারের চেয়ে ৩০ শতাংশ বাড়বে। এমন পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছে ট্যারিফ কমিশন। অন্যদিকে, এলসি স্বাভাবিক না হলে রমজান মাসে আদা-রসুনের বাজার আরও অস্থির হওয়ার আশঙ্কা করছেন শ্যামবাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলা হয়।
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ ও মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর৷
ট্যারিফ কমিশনের উপ-প্রধান মাহমুদুল হাসান বলেন, ডলারের দাম বেড়ে যাওয়া ও আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতির কারণে আমদানি করা ভোগ্যপণ্যের দাম গত রমজানের তুলনায় এবার ৩০ শতাংশ বেশি থাকবে।
এদিকে ভোক্তার ব্যয়ের বোঝা হালকা করতে ভোগ্যপণ্যের শুল্কহার কমানোর সুপারিশ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) পাঠানোর কথা জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
তিনি বলেন, ‘আজকের বৈঠকে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের এখান থেকে একটি সুপারিশ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সেখান থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।’
বৈঠকে চাহিদা-জোগানের সঠিক হিসাব রেখে বাজার তদারকির ওপর গুরুত্ব দেন আলোচকরা।
এদিন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন সরকারি কর্মকর্তারা। যেখানে বাজার কারসাজির হোতা হিসেবে বড় ব্যবসায়ীদের দায়ী করেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।
অন্য দিকে আমদানিকারকরা জানালেন, এলসি (ঋণপত্র) স্বাভাবিক না হলে রমজান মাসে পণ্যের সরবরাহ আর দরদামে সমস্যা হবে।
তারা বলেন, আমরা যদি ঠিকমতো এলসি না পাই, তাহলে সমস্যা হতে পারে। এখন ১০০ শতাংশ মার্জিন দিয়ে সবকিছু আমদানি করার কথা বলা হচ্ছে, এটি কিন্তু ঠিক নয়।
এ সময় ভোক্তার অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন দ্য কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) বক্তব্যে উঠে আসে কীভাবে করপোরেট প্রতিষ্ঠানের মুঠোবন্দি হয়ে যাচ্ছে দেশের ভোগ্যপণ্যের বাজার।
ক্যাব বলেছে, এখন করপোরেট ব্যবসার নামে কোম্পানিগুলো মনোপলি তৈরি করে রেখেছে। আমদানি বাজারে মনোপলির মাধ্যমের পণ্য আটকে রেখে বাজারের অবস্থা বুঝে পণ্য ছাড় করার যে প্রবণতা, এই জায়গাটি আসলে খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
টিএইচ