দ্বিতীয় দফার টানা বৃষ্টিতে নতুন করে দুর্ভোগে পড়েছেন আগে থেকে পানিবন্দি যশোরের অভয়নগর উপজেলার ২৫ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। এবার নতুন করে আরও শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়েছে। বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছে স্কুল কলেজ মাদ্রাসার শ্রেণিকক্ষে।
তাছাড়া বেড়িবাঁধ ভেঙে নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে আরও ১৫ গ্রামের মানুষ। এমন পরিস্থিতিতেও ভবদহের স্লুইচ গেট দিয়ে পানি নিষ্কাশনে পানি উন্নয়ন বোর্ড উদাসিন বলে অভিযোগ করে স্থানীয়রা।
জলাবদ্ধ এসব গ্রামের মানুষরা পয়নিষ্কাশন সমস্যা ও বিশুদ্ধ পানির অভাবে দিনযাপন করছেন। বেড়েছে পানিবাহিত নানা রোগ। পাতালা পায়খানা, পেটেব্যাথা ও চুলকানী নিয়ে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে অনেকে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মোট ১১টি পাম্পের মধ্যে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন মাত্র ৪টি পাম্প সচল রয়েছে। বাকি ৭টি পাম্প দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ; ৭টি পাম্প বন্ধ রেখে ভবদহ পাড়ের মানুষকে পানিতে ডুবিয়ে মারার চিন্তা পানি উন্নয়ন বোর্ডের।
জলাবদ্ধ ভবদহ এলাকার বাসিন্দা গণেষ চন্দ্র অভিযোগ করে বলেন, ২ দফায় টানা বৃষ্টিপাতে ২৭ বিলে যে পানি জমেছে; তা নিষ্কাশনে যথাযথ ভুমিকা পালন করছে না পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। তারা কেউ ঠিকমত স্লুইচ গেটে আসেন না। যাদের কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে রেখেছেন; তারাও ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করেন না।
গুরুপদ রায় নামের আরেক বাসিন্দা বলেন, এখানে যে কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়েছে তারা সবাই স্থানীয়। কেউ মাছ মারতে যায়। কেউ গরু বাঁধতে যায়। দিনের অধিকাংশ সময় অফিসে তালা ঝোলানো থাকে।
এ ব্যাপারে যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাজু আহমেদ জানান, জলাবদ্ধ অঞ্চলের পানি নিষ্কাশনে বিল কুকশা ও ডুমুরিয়ার কিছু এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে খনন কাজ শুরু হয়েছে।
৭টি পাম্প বন্ধ থাকার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, এতদিন বাজেট ছিল না। নতুন করে বাজেট এসেছে। বাংলাদেশ এগ্রিকালচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (বিএডিসি) এর মাধ্যমে আমরা পাম্পে বিদ্যুৎসংযোগ কাজ শুরু করেছি। খুব তাড়াতাড়ি ৭টি পাম্প চালু করা হবে।
টিএইচ