নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় আজও প্রাসঙ্গিক কবি ও সমাজ সংস্কারক সুফিয়া কামাল। বৃটিশ ও পাকিস্তান আমলে পশ্চাদপদ বাঙালির মানসপটে সচেতনার বীজ বুনেছিলেন এই মহিয়সী। ধর্মীয় গোড়ামি ও কুসংস্কারের যাঁতাকল থেকে বের হয়ে আত্মপরিচয়ের বিকাশ লাভে তিনিই ছিলেন কান্ডারি। এই মহিয়সী কবির ২৩তম প্রয়াণ দিবস আজ ২০ নভেম্বর।
১৯৯৯ সালের এই দিনে তিনি ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে রোববার (২০ নভেম্বর) তার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করবে।
কবি সুফিয়া কামাল নিজ উদ্যোগে শুধু নিজেকে শিক্ষিত করেননি, পিছিয়ে পড়া নারীসমাজকে শিক্ষার সুযোগ করে দেওয়ার আন্দোলনও শুরু করেছিলেন।
তার প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ নারী অধিকার আদায়ের এক অনন্য প্রতিষ্ঠান। মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে তার অবদানের জন্য তাকে ‘জননী সাহসিকা’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। সুফিয়া কামালের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি বাণীতে উল্লেখ করেন, কবি সুফিয়া কামাল ছিলেন সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে এক অকুতোভয় যোদ্ধা। তিনি নারীসমাজকে অজ্ঞানতা ও কুসংস্কারের বেড়াজাল থেকে মুক্ত করতে আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। ভাষা আন্দোলন, স্বাধিকার, মুক্তিযুদ্ধসহ গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার প্রতিটি আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন তিনি। তাঁর জীবনাদর্শ ও সাহিত্যকর্ম বৈষম্যহীন ও অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণে তরুণ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুফিয়া কামালের সাহিত্যে সৃজনশীলতা ছিল অবিস্মরণীয়।
টিএইচ