কুড়িগ্রামে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তীব্র শীতে কাহিল হয়ে পড়েছে স্বল্প আয়ের খেটে খাওয়া ও ছিন্নমূল মানুষ। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে বৃদ্ধ ও শিশুরা।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) কুড়িগ্রাম কৃষি আবহাওয়া অফিস সকাল ৯ টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দিনের বেলা সূর্যের উত্তাপ কম থাকায় শীত বেশি অনুভূত হয়। এদিকে সন্ধ্যা থেকে পরের দিন সকাল পর্যন্ত হিমেল বাতাসে তীব্র ঠান্ডায় তাপমাত্রা আরও কমতে থাকে। ফলে বেশি বিড়ম্বনায় পড়ে হতদরিদ্র ও খেটে খাওয়া মানুষ। কুয়াশার ঘনত্ব বেশি হওয়ার যানবাহনগুলো হেট লাইট জ্বালিয়ে সতর্কতার সাথে যাতায়াত করছে।
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বৃদ্ধ ও শিশুরা ঘর থেকে বাইরে যাচ্ছে না। কুড়িগ্রাম পৌর এলাকার নুর মোহাম্মদ (৭০) বলেন- অন্য দিনের তুলনায় আজ বেশি ঠান্ডা লাগছে। সন্ধ্যার পর তো বাইরে আসা যায় না। আমার মতো বয়সের মানুষগুলোর বেশি সমস্যা হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কাঁচিচর ইউনিয়য়ের দিনমজুর কুদরত উল্লা বলেন-আমি প্রতিদিন শহর এলাকায় দিন হাজিরায় কাজ করতে আসি। মাস খানেক থাকি ঠান্ডা ছাড়ছে। কিন্তু আজ যে এত ঠান্ডা হাত-পা অবস হয়ে যায়। সারাদিন কাজ শেষে সন্ধ্যায় বাড়ি যাবার সময় আরও বেশি ঠান্ডা লাগে। এদিকে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন থেকে ৯ উপজেলার শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ চলছে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, কয়েকদিন তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করার পর শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ৯ দশমিক ৫ডিগ্রি সেলসিয়াস। জেলা জুড়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। যা আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
টিএইচ